বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশের সহযোগিতায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে ‘মুজিব’ গ্রাফিক নভেল সিরিজ বিতরণ অনুষ্ঠান আজ (সোমবার) দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সফল জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা, সাবেক সফল বিভাগীয় কমিশনার খুলনা,সাবেক সিনিয়র সচিব নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও  সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এর চেয়ারপার্সোন ও বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি মোঃ আবদুস সামাদ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির কান্ডারি ও রাজনীতির কবি। তিনি সারাজীবন বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও অধিকার আদারের জন্য সংগ্রাম করেছেন। এই জন্য তাকে বার বার জেলে যেতে হয়েছে। তার বজ্রকন্ঠ, অনবদ্য সাহস ও অসাধারণ নেতৃত্বের ফলে আমরা সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। হাজার বছর ধরে বাঙালির যে দুঃখ, বেদনা, কষ্ট, অর্থনৈতিক দুরাবস্তা, অনাচার জমে ছিলো সেই পাষাণকে ভেঙ্গে একটি আত্মপ্রত্যয়ে দীপ্ত জাতি গঠন করাই ছিলো তার স্বপ্নের দর্শন।

পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পর্কে চেয়ারম্যান বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশকে কেন্দ্রীভূত করেছে। একীভূত বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে। আজকের টেকনাফ থেকে পঞ্চগড় এবং সাতক্ষীরা থেকে সুনামগঞ্জের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এই সেতুর ফলে মানুষের মাঝে ব্যবধান দূর হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘মুজিব’ গ্রাফিক নভেল সিরিজ বিতরণের উদ্যোগ শিশু-কিশোরসহ সকল মানুষকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আরো ভাল করে জানার সুযোগ করে দেবে।

 

এই কাজে সহযোগিতার জন্য বিকাশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যত বেশি বই পড়বে, জ্ঞানরাজ্য সম্পর্কে ততবেশি জানতে পারবে। এর ফলে বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ হবে। বিশ^মানের নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিতে পারবে।

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব:) শেখ মোঃ মনিরুল ইসলাম ও বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগের একশ’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চার হাজার কপি ‘মুজিব’ গ্রাফিক নভেল সিরিজ বিতরণ করেন। এপর্যায়ে একশটি স্কুলের প্রতিটিতে পাঁচ সেট করে বই দেয়া হয়েছে। ফলে একই সাথে ৪০ জন শিক্ষার্থী স্কুলের লাইব্রেরি থেকে বইটি পড়ার সুযোগ পাবে।


উল্লেখ্য, আগামী প্রজন্মের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির সাথে যুক্ত আছে বিকাশ। এ পর্যন্ত দুই হাজার ৯০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ৫৩ হাজার ছয়শত বই দিয়েছে বিকাশ, যা থেকে ২৬ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন