★★★★
সিটিজেন জার্নালিষ্ট(জিমি):
আজ ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস।যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশের ৬৪ টি জেলার ন্যায় জামালপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কেক কাটা,বর্ণাঢ্য র্্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিন টি উদযাপন করা হয়েছে।জামালপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৮.৩০ মিনিটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্্যালি বের হয়।র্্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষীন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সামনে এসে সমাপ্ত হয়।উক্ত র্্যালিতে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব জনাব আবদুস সামাদ,জামালপুরের মাননীয় সংসদ সদস্য,জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,উপজেলা চেয়ারম্যান সহ সকল সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।র্্যালি শেষে কেক কাটা ও বঙ্গবন্ধুর জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র ব্যক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় সচিব জনাব আবদুস সামাদ বলেন,বঙ্গবন্ধু না থাকলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না।বঙ্গবন্ধুর জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে তিনি তাঁর গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তব্যে বলেন……..
১৭ মার্চ ২০১৮,শনিবার, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস। বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তদানীন্তন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর বাবার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। পরিবারের চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তাঁদের তৃতীয় সন্তান। সেদিনের টুঙ্গীপাড়ার অজপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করা ‘খোকা’ নামের সেই শিশুটি পরবর্তীতে হয়ে উঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণেই তিনি পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু। কিশোর বয়সেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন।
এরপর থেকে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামী জীবনের অভিযাত্রা।বঙ্গবন্ধু তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে ১৯৪৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠন করেন। ’৪৭-এ দেশবিভাগ , ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে ’৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পরিণত হন। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধুর নাম চির ভাস্বর হয়ে আছে। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসর্কোর্স ময়দানে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেন
‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক কালজয়ী নাম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে বিশ্বাসঘাতকদের নিষ্ঠুর বুলেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হন। কিন্তু বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক অবিচ্ছেদ্য নাম এবং বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতির অবিভাজ্য সম্পর্কের কোন পরিসমাপ্তি নেই। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বিশ্বসভায় বাঙালি জাতির সগর্ব উপস্থিতি স্মরণ করিয়ে দেয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে।
বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসায় বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মাণের কালজয়ী এ সিংহ পুরুষকে চিরকাল স্মরণ করবে।
তাই কবির ভাষায়……
যতদিন রবে পদ্মা-যমুনা
গৌরী-মেঘনা বহমান,
ততদিন রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।
দীর্ঘ ৪৫ মিনিট সময় ধরে নৌ সচিব জনাব আবদুস সামাদ মহোদয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জীবন বৃত্তান্ত,বঙ্গবন্ধুর পরিবার,বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বিষাদ আলোচনা করেন।আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।