জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কাউন্টডাউন বা ক্ষণ গণনার তারিখ পরিবর্তন হয়েছে। এর আগে ক্ষণ গণনা শুরুর তারিখ ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ঘোষণা করা হলেও নতুন তারিখ অনুযায়ী ১০ জানুয়ারি থেকে ক্ষণ গণনা শুরু হবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক কামাল চৌধুরী একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আগামী মাসের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস থেকেই কাউন্টডাউন শুরু হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাউন্টডাউন বা ক্ষণগণনা কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।’
মতবিনিময় সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর উদযাপন কমিটির প্রস্তুতিমূলক এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কাউন্টডাউন বা ক্ষণগণনা শুরু হবে ৮ ডিসেম্বর থেকে। আজ বুধবার আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ১০ জানুয়ারি কাউন্টডাউন বা ক্ষণগণনা শুরুর কথা ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শেখ রেহানাসহ ১০২ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৬১ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
জাতীয় কমিটিতে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ছাড়াও জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, আওয়ামী লীগের গত সরকারের দশ জন মন্ত্রী, বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, ঢাকার দুই মেয়র, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুজন সাবেক গভর্নর, বিভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতিনিধি এবং বেশ কয়েকজন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে রাখা হয়েছে এই কমিটিতে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে এই জাতীয় কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে প্রয়োজনীয় নীতি পরিকল্পনা ও কর্মসূচি অনুমোদনের পাশাপাশি বাস্তবায়ন কমিটিকে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেবে জাতীয় কমিটি। অন্যদিকে বাস্তবায়ন কমিটি সার্বিক পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন এবং জাতীয় কমিটির অনুমোদন নিয়ে তা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০ ও ২০২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘এই আয়োজনে সব বয়স ও শ্রেণিপেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে।’