♣♣♣
সাতক্ষীরায় কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
বুধবার সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের আয়োজনে, স্কুল প্রাঙ্গণে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারজিনা নাহিদ নিগার’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আত্ম জীবনী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক হাবিবুল্লাহ হাবিব, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাইফুর রহমান, ফারজানা সুলতানা, ফাহমিদা খাতুন, রাজমিতা মন্ডল, তহমিনা আক্তার সুমি ও কামরুজ্জামান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে জাতির পিতার হত্যাকারীদের নিষ্ঠুর, বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে তিনিও শাহাদাৎ বরণ করেন। শহিদ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মাত্র ৩ বছর বয়সে পিতা ও ৫ বছর বয়সে মাতাকে হারান। তার ডাক নাম ছিল ‘রেনু’। পিতার নাম শেখ জহুরুল হক ও মাতার নাম হোসনে আরা বেগম। দাদা শেখ কাসেম চাচাতো ভাই শেখ লুৎফর রহমানের পুত্র শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বেগম ফজিলাতুন্নেছার বিবাহ দেন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে তিনি প্রাথমিক লেখাপড়া করেন। অতঃপর সামাজিক রীতি-নীতির কারণে গ্রামে গৃহশিক্ষকের কাছে লেখাপড়া করেন। ফরিদপুরের টুঙ্গীপাড়ার অজপাড়াগাঁয়ের সন্তান শেখ মুজিব দীর্ঘ আপোষহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির পিতাই নন, বিশ্ব বরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন, তার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁরই সহধর্মিনী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
আলোচনা সভা শেষে প্রতিবন্ধী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে কেক কাটা হয় এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের শহিদ সকল সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষক ও প্রতিবন্ধী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।