বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয় খুলনা নগরীতে। বর্ষবরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহের মধ্যে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসব। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এসকল কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সকালে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর চত্ত্বরের বকুলতলায় বৈশাখী গানের মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। শোভাযাত্রাটি শিববাড়ি মোড় থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খুলনা অফিসার্স ক্লাবে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ,অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো:ফারুক খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশার নিশ্চিন্ত কুমার পুয়াদ্দার,অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সুবাষ চন্দ্র সাহা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
সকাল সাড়ে সাতটায় জেলা প্রশাসকের বাংলোর বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসব। এছাড়া সন্ধ্যায় নগরীর শান্তিধাম মোড়স্থ জাতিসংঘ শিশু পার্কে ‘চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখী মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা শিশু একাডেমী শিশুদের নিয়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। খুলনা জেলা কারাগার ও শিশু পরিবার-৩ ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং জেল কয়েদিদের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্যাদির প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে। বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ শিশুদের রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।