ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে শান্তিতে বসবাস করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি উৎসব আয়োজনে সবাইকে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করার জন্য, নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সে নির্দেশনা মতো আমরা আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা এ উৎসবে মিলিত হতে এখানে এসেছি। এ দেশে সম্প্রীতির যে মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে, তা বিশ্বের বুকে এক নজির স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, যেকোন প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনাদেরকে যেকোনো সহযোগিতা করতে আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি।
আইজিপি (৪ মে ২০২৩) আজ রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
আইজিপি বৌদ্ধ বিহারে এসে পৌঁছালে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিনি একটি কেক কেটে সকলের সাথে বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছেন। এ নীতির আলোকে আমরা দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে একসাথে দায়িত্ব পালন করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছি।
আইজিপি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্সে বাংলাদেশ পূর্বে যে অবস্থানে ছিল তার চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে কাজ করার ফলেই এ সফলতা এসেছে।
তিনি যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার সাথে সাথে দ্রুততম সময়ে পুলিশকে জানানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, আপনারা নিকটস্থ পুলিশ ইউনিট অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করুন, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিব।
আইজিপি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যখনই কোনও ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।
অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোঃ কামরুল আহসান বিপিএম (বার), ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।