দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ডা. রোকেয়া সুলতানা।
আওয়ামী লীগে দ্বিতীয়বারের মতো এই পদ পেলেন তিনি। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একজন নিবেদিত চিকিৎসক কর্মী ও নেতা হিসেবে গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে নিরলস পরিশ্রম করেছেন ডা. রোকেয়া সুলতানা। অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই চিকিৎসক নেত্রী আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকার সময় প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে যেমন তৎপর ছিলেন, তেমনি দল ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেত্রী হিসেবে তার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। গত কমিটিতে তিনি তার সুনিপুণ দক্ষতার পরিচয় রাখেন যার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই আবারও তার উপর আস্থা রাখলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদে নিয়োগ লাভের পর ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুস্থ ও দারিদ্র্যতা দূর করে বাঙালি জাতিকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার লক্ষ্যেই বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের দুস্থ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই হবে মূল লক্ষ্য। ডা. রোকেয়া সুলতানা রংপুর মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্রী। ১৯৭৮ সালে এমবিবিএস পাস করে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। অ্যানেসথেসিওলজিস্ট হিসেবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে অবসরে যান তিনি। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মাহতাবউদ্দিনের সন্তান ডা. রোকেয়া সুলতানা। বর্তমানে তিনি স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিএমএর (রংপুর বিভাগ) সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) কোষাধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন-বিএমএ এর কার্য্যনির্বাহী সদস্য পদে আছেন। তার স্বামী বিশিষ্ট মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আবদুল হামিদ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক।

এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ডা. রোকেয়া সুলতানা নিযুক্ত হওয়াতে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে এবং তার সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন সারাদেশে সাতক্ষীরার অধিবাসী চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন ডক্টরস্ এন্ড মেডিকেল স্টুডেন্টস্ ফ্রম সাতক্ষীরা’র আহবায়ক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা উপ-কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধোর সন্তান ডা. সুব্রত ঘোষ, বাংলাদেশ অনলাইন এ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্ক (বোয়ান) -এর কোষাধ্যক্ষ মুক্তিযুদ্ধোর সন্তান রাজীব পোদ্দার, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর দেবাশীষ সাহা তন্ময়, এবং বিশিষ্ট গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিভেল চক্রবর্তী।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন