কক্সবাজারের চকোরিয়ায় মোটরসাইকেল চালক মুবিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম- কায়সার (১৯), রহিম (১৮) ও আলমগীর (৩২)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল হাবিবুর রহমান বিপিএম বলেন, গত ২১ মে কক্সবাজারের চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে মুবিনের অর্ধগলিত মরদেহ লামার ফাইতং ইউনিয়নের হলিকাটা ঝিরি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। মুবিন ভাড়া মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ঘটনার পর থেকেই তদন্তে নামে সিআইডি।

তদন্তকালে জানা যায়, ১৮ মে এক যুবক রাত ১১টায় মুবিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ২১ মে মুবিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্তের এক পর্যায়ে জানা যায়, বিয়েতে যাওয়ার কথা বলে মুবিনের মোটরসাইকেল ভাড়া করেন কায়সার। পরে লামার ফাইতং ইউনিয়নের হলিকাটা ঝিরির এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল থামান তিনি। ওই জায়গায় আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন কায়সারের দুই বন্ধু রহিম ও আব্দুল্লাহ। এ সময় রহিম মুবিনের দুই পা ও আব্দুল্লাহ দুই হাত চেপে ধরেন। তখন কায়সার ছুরি দিয়ে মবিনের গলায় আঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পেটেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর মুবিনকে পাহাড়ের নীচে ফেলে দিয়ে মোটরসাইকেলটি নিয়ে আলমগীর নামে একজনের কাছে বিক্রি করেন।

ডিআইজি হাবিবুর রহমান আরও বলেন, গ্রেপ্তার ও ভিকটিমের কল রেকর্ড এবং তদন্তের মাধ্যমে সিআইডি নিশ্চিত হয় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কায়সার ও তার বন্ধুরা জড়িত। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত করে বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ পলাতক রয়েছেন।

ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কায়সার জানিয়েছেন, তার বাবা হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসক বলে দিয়েছেন, তার বাবা আর বাঁচবেন না। এরপরেও কায়সার টাকা জোগাড় করে উন্নত চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করতে থাকেন। পরে বন্ধুরাই তাকে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের পরামর্শ দেয়। এরপর মুবিনের মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন তিনি।

সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, তাদের নামে থানায় কোনো মামলা না থাকলেও এলাকায় তারা চুরি, ছিনতাই ও ছোটখাটো অপরাধে জড়িত। অভিযুক্তরা একত্রিত হয়ে সংঘবদ্ধ চক্র তৈরির চেষ্টা করছিল।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন