বিগত দুই বছর ধরে বিশ্বব্যাপী হাম ও রুবেলা ভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে দেখা দেওয়ায় এবছর বাংলাদেশে টিকাদান সপ্তাহে হামের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। হামের এই টিকার প্রথম ভোজ শিশুর নয় মাস বয়স পুর্ণ হলে এবং দ্বিতীয় ডোজ শিশুর ১৫ মাস বয়স পুর্ণ হলে যে কোন টিকাদান কেন্দ্র থেকে দেওয়া যাবে। দেশে প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু হামে ভুগছে। হাম জনিতকারণে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার শিশু মৃত্যুবরণ করে।
‘কার্যকর টিকা, সকলের সুরক্ষা’ শ্লোগান নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) সকালে স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলনকক্ষে খুলনা সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ের এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জনসাধারণকে সচেতন করে সকলকে টিকার আওতায় আনতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের এই কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে। তাঁরা আরও বলেন, শিশু সুরক্ষার জন্য টিকা প্রদানে কোন বিকল্প নেই। প্রতিটি শিশুকে সকল টিকার আওতায় আনতে হবে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহামন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডির উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, পরিবার পরিকল্পা বিভগের উপপরিচালক মোঃ আব্দুল আলিম প্রমুখ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রতিনিধি ডাঃ মোঃ নাজমুল আহসান। এ্যাডভোকেসি সভায় জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ১৯৭৯ সালের ৭ই এপ্রিল বাংলাদেশে ছয়টি রোগের বিরুদ্ধে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়, যা বর্তমানে ১০টি রোগের ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে। ১৯৮৫ সাল থেকে গ্রাম ও শহর এলাকায় ইপিআই সেবা পর্যায়ক্রমে সকল জনগোষ্ঠীর মধ্যে সহজলভ্য করা হয়।