গাজীপুরে পুলিশের অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধদের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে গিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।

বিস্ফোরণে দগ্ধদের দেখতে হাসপাতালে জিএমপি কমিশনার

এ সময় পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে সমবেদনা জ্ঞাপন ও চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন কমিশনার।

ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনসহ অন্যান্য চিকিৎসককে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ কমিশনার আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসাদানের জন্য অনুরোধ জানান।

জিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি-মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন জানান, পুলিশ কমিশনার এ সময় দগ্ধ আবু হেনা রনি, পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানের স্বজনদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত এ দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন আহতদের চিকিৎসায় ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতান আশ্বাস দেন।

এর আগে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে নাগরিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উদ্বোধনের সময় গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ ৫ জন দগ্ধ হন।

দগ্ধরা হলেন- মিরাক্কেল খ্যাত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, গাছা থানার কনস্টেবল রুবেল হোসেন, টঙ্গী পূর্ব থানার কনস্টেবল জিল্লুর রহমান, গাছা থানার কনস্টেবল ইমরান হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পৌঁছালে তাকে উদ্বোধন মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার হাতে বেশ কিছু বেলুন দেয়া হয় উড়িয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু বার বার চেষ্টা করেও সেই বেলুন উড়াতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
 

পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেই বেলুনগুলি মঞ্চের পাশে নিয়ে যান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ লাইনেই মূলমঞ্চে চলে যান। তিনি মঞ্চে চলে যাওয়ার কিছু সময় পর কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অন্যরা বেলুনে আগুন লাগিয়ে উড়ানোর চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশে বসে থাকা কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে আশপাশের পুলিশ সদস্যরা তাদের গায়ে পানি ঢেলে আগুন নেভান এবং গাড়িতে করে দ্রুত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবু হেনা রনি, মোশাররফ হোসেন ও জিল্লুর রহমানকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। বাকিদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হয়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, রনির শরীরের ২৪ শতাংশ ও জিল্লুর রহমানের আনুমানিক ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক না হলেও দগ্ধের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এজন্য তাদের ভর্তি করে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।




০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন