সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ২০১৮ সালের বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ চারটি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৪৬ জনকে পদক দেওয়া হয়েছে।
পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে নয়জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম), ১৫ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক (পিবিজিএম), দুজনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক সেবা (বিজিবিএমএস) এবং ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক সেবা (পিবিজিএমএস) দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে পিলখানার বিজিবি সদর দপ্তরের বীরউত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদকপ্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিজিবির ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সরকারের উদ্যোগে বিজিবির উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ফলে বাহিনীর সদস্যদের সক্ষমতা ও কর্মস্পৃহা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আজ তাদের মনোবল অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক উন্নত।’
বিজিবিপ্রধান বলেন, ‘বিজিবির উন্নয়নে সরকারের এ অবদান বিজিবির সকল সদস্য ও তাদের পরিবার আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।;
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সীমান্ত রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ও মহান দায়িত্ব বিজিবির ওপর ন্যস্ত। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষাসহ চোরাচালান, মাদক পাচার ও নারী-শিশু পাচার রোধে বিজিবির সফলতা প্রশংসনীয়। বিশেষ করে ইয়াবা, ফেনসিডিল এবং অন্যান্য মাদক পাচার রোধে বিজিবি বিশেষ কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ দেশ গঠনমূলক কাজেও আপনারা প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের ক্ষেত্রে বিজিবি সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম করেছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
মন্ত্রী তার বক্তব্যে ২০১৮ সালে বিজিবির কর্মকাণ্ডে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই সফলতা আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে আপনারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিজিবির সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।