♣♣♣♣♣♣
আর.কে.বাপ্পা, দেবহাটা :
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ বৃক্ষ রোপনে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরষ্কার ২০১৭ গ্রহন করেছেন। বৃহষ্পতিবার সকালে ঢাকার আগারগাঁও বন ভবনের হৈমন্তি মিলনায়তনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নিকট থেকে ইউএনও এই জাতীয় পুরষ্কার গ্রহন করেছেন। সম্প্রতি বন শাখা-২ এর ২২.০০.০০০০.০৬৭.৪৩.০০০৯.১৬-১৬৩ নং স্মারকে “গ” শ্রেনীতে দেবহাটা উপজেলা পরিষদ এই পুরষ্কারের জন্য মনোনিত হয়। উক্ত পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রনালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী। উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ দেবহাটা উপজেলায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি বৃক্ষ রোপনের উপর কাজ করেন। তারই ফলশ্রুতিতে তিনি দেবহাটা উপজেলার মধ্যে একটি ঔষধী গাছের বাগান রোপন করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন প্রজাতির দূর্লভ গাছের চারা রোপন করেছেন। এছাড়া তিনি প্রায় ৩ একর জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির বনজ, ফলজ, ভেষজ (ঔষধী) ছাড়াও শোভাবর্ধনকারী ও দেশীয় বিলুপ্ত প্রায় গাছের চারা রোপন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, দেশীয় ফল, টক জাতীয় ফল, ঔষধী গাছ রক্ষা, নতুন প্রজন্মকে বর্নিত গাছসমূহের সাথে পরিচিতি ঘটানো এবং বিলুপ্তপ্রায় গাছসমূহকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পাওয়া এই পুরষ্কার সকল দেবহাটাবাসীর বলে তিনি জানান। ইউএনও বলেন, আরো একাধিক বাগান সৃষ্টি এবং বৃহৎ পরিসরে বৃক্ষ রোপন করে জনগনকে সম্পৃক্ত করে বৃক্ষ রোপনে উৎসাহ প্রদান করার জন্য তিনি কাজ করবেন। উল্লেখ্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ দেবহাটায় যোগদানের পর থেকে দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর, দেবহাটা রুপসী ম্যানগ্রোভকে আরো উন্নত ও বিনোদনমূলক করা, উপজেলা গেট নির্মান, উপজেলা মুক্ত মঞ্চ নির্মান, উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে সেবা গ্রহনকারীদের জন্য কাচারী ঘর নির্মান, উপজেলা পরিষদের শোভা বর্ধন করা সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট