ব্যক্তিত্ব মানুষের বড় একটি গুণ বা সম্পদ। কথায় আছে ব্যক্তিত্বহীন মানুষ পশুর সমান। যার ব্যক্তিত্ব নেই সে সমাজে কাছে মূল্যহীন। ব্যক্তিত্বহীন মানুষ কখনো একটি দেশের সম্পদ হতে পারে না। মানুষ মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকে ব্যক্তিত্বের জন্য। সুন্দর চেহারা নয় বরং ব্যক্তিত্বের মানবিক গুনাবলির কারণে মানুষ ভিন্ন হয়ে থাকে। এই ব্যক্তিত্বকে ধরে রাখতে মানুষকে কঠোর পরিশ্রমের দরকার নেই। ভেতরের মানুষকে সঠিক ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারলে ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠবে। ব্যক্তিত্বকে সঠিক ও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে প্রত্যেকটা মানুষের উচিত খারাপ দিকগুলো ছুড়ে ফেলে দেয়া। তাই নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখার কিছু উপায় জেনে নিন-

১) অশালীন ভাষা ব্যবহার মানুষের ব্যক্তিত্বকে অনেক নিচে নামিয়ে দেয়। শালীন ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। তাই ব্যক্তিত্ব বিকাশের একটি বড় মাধ্যম হল শালীন ভাষা।

২) ছোট হোক বড় হোক না কেন, সবাইকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। অনেকের ধারণা সম্মান দিতে গিয়ে সে নিজে ছোট হয়ে যাবে। এ ধারণাটি সম্পূর্ন ভূল। বরং সম্মান দিলে তার সম্মান আরও দ্বিগুন বেড়ে যায়।

৩) আচার-আচারণের মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে। ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে আচার আচারণ হতে হবে মার্জিত ও স্বাভাবিক।

৪) ক্রোধের কারণে মানুষের ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়ে যায়। ব্যক্তিত্ব বিকাশে ক্রোধ উত্তেজনা আপনার আচারণে অনেক ভূমিকা রাখে।

৫) আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা ব্যক্তিত্বকে অনেক উপরে নিয়ে যায়। অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না। কারণ একটু ভেবে দেখুন, অন্য কেউ যদি আপনার ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে তাহলে কেমন খারাপ লাগবে?

৬) সুন্দর ভাষার ব্যবহার ব্যক্তিত্ব অনেক ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। পোষাক ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলে। ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরুন পোষাকের মাধ্যমে। পোষাক হতে হবে মার্জিত।

৭) হাসি সবার সঙ্গে কথা বলুন। এতে আপনার আশেপাশের মানুষগুলো আপনার উপর আস্থা খুঁজে পাবে।

৮) অতিরিক্ত কথা বলা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। অতিরিক্ত কথা যেমন নিজের ব্যক্তিত্বকে নষ্ট করে ঠিক তেমনি নষ্ট করে আপনার আশেপাশের পরিবেশ। যে কথাটি প্রয়োজনীয় শুধু সেই কথাটি বলুন।

৯) যখন বন্ধুদের আড্ডায় থাকবেন, তখন সেখানেই মনযোগ দিতে হবে। পরিবার, অফিস এবং বাইরে যে পরিবেশেই থাকুন না কেন, নিজেকে ঠিক সে ভাবেই মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব অনেকখানি প্রকাশ পাবে।

১০) যার চরিত্র বলতে কিছু নেই তার মতো দরিদ্র আর কেউ নেই। চরিত্রসম্পন্ন মানুষই প্রকৃত মানুষ। তাই ব্যক্তিত্ব অর্জনে চরিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১১) সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। ইতিবাচক চিন্তা ব্যক্তিত্ব বিকাশে যেমন ভূমিকা রাখে ঠিক তেমনি সমাজের উপরও প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। নেতিবাচক চিন্তা থেকে নিজেকে সব সময় দূরে রাখতে হবে।

১২) নিজেকে অন্যের থেকে আলাদাভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করুন। অন্যের দেখাদেখি নয়, নিজেকে নিজের মতো করে তুলে ধরতে হবে।

১৩) অপরের ভালো কাজগুলোর জন্য সব সময় প্রশংসা করতে হবে। কারো কিছু অর্জনকে কখনও হিংসার চোখে দেখবেন না। একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষই কেবল অন্যের কৃতিত্বকে স্বীকার করতে পারে।

১৪) কথা বলার সময় ইংরেজী নয় বরং মাতৃভাষা বাংলাকে প্রাধান্য দিন। অন্য ভাষা শেখা বা ব্যবহার করার আগে নিজের ভাষা ভালোভাবে রপ্ত করে নিতে হবে। যে নিজের দেশের ভাষা ও আচার ব্যবহার জানে না সে কখনো একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষ হতে পারে না।
সংগৃহীত।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন