ব্যবসায়ীদের থেকে নয়, প্রান্তিক কৃষকদের থেকেই ধান সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে। ধান পাকার আগেই ফসল আবাদের পরিমাণ ও সংশ্লিষ্ট কৃষকদের তথ্য কৃষি অফিস সরবরাহ করবে। কৃষকরা এখন সরকারি খাদ্য গুদামের ধান দিতে আগ্রহী। ধান সংরক্ষণের উপযুক্ত আর্দ্রতা নিশ্চিত করেই ধান সংগ্রহ করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আজ (সোমবার) দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসকল কথা বলেন।
দুর্নীতি ও অদক্ষতার বিরুদ্ধে তাঁর শক্ত অবস্থান প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য বিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণার পরিবর্তনে কাজ করা প্রয়োজন। সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে দুর্নীতি দূর করতে হবে। ধান সংগ্রহের সময় পরিমাপে বেশি নেওয়া পরিহার করতে হবে। একই সাথে সংগৃহীত চালের মান নিশ্চিত করতে হবে। কোন গুদামে রক্ষিত চালের মান ও পরিমাপে তারতম্য হলে কর্মকর্তারা দায়ী থাকবেন। তিনি আরও বলেন, আগামীতে ধান শুকানো ও পরিষ্কারের ব্যবস্থা সংযুক্ত সাইলো স্থাপন করা হবে। দেশ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্ত। আগামীতে দেশ থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও চীনের সাথে টিকে থাকতে হলে চালের মান উন্নত করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ওমর ফারুক, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল আজিজ মোল্লা এবং খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ড. এস এম মুহসিন। খুলনা জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের যৌথ আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মোংলায় অবস্থিত খাদ্য অধিদপ্তরের সাইলো পরিদর্শন করেন।