বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা ও অবদানের জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ থাকবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনও দেশের যদি এককভাবে সবচেয়ে বেশি অবদান থাকে, সেটি হচ্ছে ভারত। সেই সময় বাংলাদেশের এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। সে সময় দেশটির সরকার আমাদের সহযোগিতা করেছিল। তাই ভারতের অংশগ্রহণ ছাড়া মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অপূর্ণ।’
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ শুরু হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তাই বাংলাদেশের জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে তিনি আসবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে বাংলাদেশে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সবাই এখন অপেক্ষায় আছেন মুজিববর্ষের জন্য। এই অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী অনেক দেশকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মুজিববর্ষের এই অনুষ্ঠানে যদি ভারতের অংশগ্রহণ না থাকে, তাহলে আমি মনে করি মুজিববর্ষটাই অপূর্ণ থেকে যাবে। সুতরাং মুজিববর্ষে অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ অনেকটা গুরত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য তৎকালীন ভারত সরকার, তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিভিন্ন দেশে ছুটে গেছেন। সেই আন্তর্জাতিক এবং বিশ্ব জনমতের চাপের কারণেই তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ফিরে আসেন, আর তখন আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতে কি ঘটেছে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশে তো এমন কিছু ঘটেনি যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে আসা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে।
এসময় তিনি অভিযোগ করেন, ভারত বিরোধিতাই বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। ভারত বিরোধিতার রাজনীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্যই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবান্তর কথা বলছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা শ্রেণী আছে যারা সবসময় সাম্প্রদায়িক ইস্যু সৃষ্টি করতে কাজ করে। তবে তারা হালে পানি পাবে না।