ভারতের অনেক স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে সুন্দর পরিবেশে ঢাকার দুই সিটিতে ভোট হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি কলকাতা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দিকে তাকাই এবং ভারতের অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনের দিকে তাকাই সেই বিচারে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনেক সুন্দর পরিবেশে হচ্ছে।’
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন আমাদের সাফল্য সেখানেই আমরা মাঠে নামতে পেরেছি। নির্বাচনে জয়লাভ করা তাদের কতটুকু উদ্দেশ্য? সুতরাং নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নানা অভিযোগ উপস্থাপন করবে, এগুলো গদবাঁধা অভিযোগ। সব সময় তারা করে আসছে। নির্বাচন চলাকালে নানা অভিযোগ করবে, বিকালে করবে, সন্ধ্যা বেলাও করবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম থেকেই বিএনপির প্রচেষ্টা ছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। নানা ধরনের অভিযোগ নির্বাচনী প্রচারণার সময় তারা উপস্থাপন করেছিল। আজকেও সকাল বেলা থেকে সেটা উপস্থাপন করছে। তারা দুপুর বেলা কী বলবে সেটা ঠিক করে রেখেছে। বিকাল বেলা কী বলবে সেটা ঠিক করে রেখেছে। এবং নির্বাচনের ফলাফল যে রকমের হয় সে রকমের জন্য তারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন, নির্বাচনের প্রচারণা থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে, এটা সত্যি। তবে সার্বিক বিবেচনায় ঢাকা শহর একটি পৃথিবীর বড় শহর। ৫৪ লাখ ভোটার। এই শহরে নির্বাচনী আমেজ ছিল প্রচারণার সময়। এখনো পর্যন্ত মানুষ যে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোটারধিকার প্রয়োগ করছে। আমি মনে করি অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় নির্বাচনী পরিবেশ ভালো।’
নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক আহত হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো সাংবাদিক আহত হওয়া অনভিপ্রেত, দুঃখজনক। সেটি কেন হয়েছে, কীভাবে হয়েছে নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। কোনো সাংবাদিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হওয়া বা বাধাগ্রস্ত হওয়া কোনোভাবে সমীচীন নয়, আমরা সেটা সমর্থন করি না।’
ভোটার উপস্থিতি কমের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শীতের সকাল ৮টা অনেক সকাল। আর একই সাথে শনিবার বন্ধের দিন। বন্ধের দিনে মানুষের মাঝে একটা বন্ধের আমেজ থাকে। সেই পরিস্থিতিতে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিত বেড়েছে। এখনও ভোটের সময় বাকি রয়েছে, আমি সবাইকে অনুরোধ জানাবো যে যেখানে ইচ্ছা সেখানেই ভোট দেবেন। তারা যেন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে আসেন। ইভিএম নিজেই পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। সেখানে আমাদের কর্মী যতই থাক না কেন, কারো পক্ষে ইভিএম মেশিনে ফিংগার প্রিন্ট না মিললে অন্যের ভোট দেয়া সম্ভব নয়।’