“হেলদী সাতক্ষীরা” অর্থাৎ সুস্থ-সবল-নীরোগ সাতক্ষীরা গড়তে “অর্থের অভাবে কোন রোগীর মৃত্যু নয়” -এই নীতিতে সামনে রেখে করোনাকালের এই দুঃসময়ে সাতক্ষীরাবাসীকে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য ডক্টরস এন্ড মেডিকেল স্টুডেন্টস ফ্রম সাতক্ষীরার আহবায়ক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সুব্রত ঘোষ। নিজস্ব চেম্বারে আর সকল রোগীর মতনই তিনি সেবা দেন পারুলিয়া থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সহায় সম্বলহীন ভিক্ষুক হোসনে আরাকে। প্রচন্ড কোমর ব্যথা আর জ্বর নিয়ে আসা হোসনে আরাকে পরম মমতায় মাস্ক পরিয়ে দেন ডা. সুব্রত ঘোষ। অতপর চিকিৎসা প্রদান করে ব্যাবস্থাপত্র অনুযায়ী সকল ঔষধ প্রদান করেন তিনি এবং পরবর্তীতে আবারো প্রয়োজনে যে কোন সময়ে চেম্বারে আসার আমন্ত্রণ জানান সাতক্ষীরার সন্তান চিকিৎসক ডা. সুব্রত ঘোষ। ডা. সুব্রত’র এমন মানবিক আচরনে আপ্লুত হোসনে আরা অভিব্যক্তি প্রকাশে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, অর্থকড়ি দেবার ক্ষমতা তার নেই তবে মন ভরে দোয়া করবেন তিনি ডা. সুব্রত ও তার পরিবারের জন্য। ডা. সুব্রত ঘোষ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এঁর আদর্শে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সাতক্ষীরাবাসীসহ দেশের মানুষকে তিনি সাধ্যানুযায়ী আমৃত্যু চিকিৎসা সেবা দিতে চান।
এর আাগে ১৫ আগস্ট ২০২০ থেকে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিরারকে আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেবেন ডা. সুব্রত ঘোষ। পলাশপোল শহীদ কাজল সরনীস্থ নিজস্ব চেম্বারে তিনি নিখেছেন,
যাঁদের অশীর্বাদে আমার চিকিৎসক হয়ে ওঠা, সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
০ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও তাঁদের গর্বিত পরিবার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত পরিবার।
০ আমার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও তাঁদের পরিবার।
০ আমার স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী ও তাঁদের পরিবার।
০ যে কোন পর্যায়ের শ্রদ্ধের চিকিৎসক সহকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী ও তাঁদের পরিবার।
০ দুঃস্থ ও গরীব যাঁরা অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
-উপরোক্ত নমস্য ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে ব্যাবস্থাপত্র ও পরামর্শের জন্য কোন ফি নেওয়া হয় না।
সেবা করার সুযোগ দেবার জন্য আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সুব্রত ঘোষ হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে পোস্ট গ্রাজুয়েট এমপিএইচ ডিগ্রী অর্জন করে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করেন। তার পিতা সাতক্ষীরার বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মুক্তিযোদ্ধা ডা. সুশান্ত কুমার ঘোষ এবং মাতা সমাজ সেবিকা মিসেস সুলেখা ঘোষ। ছোট ভাই সংগীত শিল্পী সৌগত ঘোষ দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন। এক সন্তান সত্যব্রত ঘোষ -এর পিতা ডা. সুব্রত’র স্ত্রী ডা. ইলিকা ঘোষ গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন। ডা. সুব্রত ঘোষ ও তার করোনা যোদ্ধা পরিবারের চিকিৎসক সদস্যরা মিলে করোনাকালে এ পর্যন্ত প্রায় আট সহস্রাধিক রোগীকে বিনামূল্যে টেলি চিকিৎসা প্রদান করেছেন।