নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অপরাধের ধরন সমূহ গুলো আজ কাল ডিজিটাল রুপ নিয়েছে।যেটা ধরতে খুব হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসন কে।যে সমস্ত অপরাদ দেখা যায় বা সহজে নির্নয় করা যায়,সেগুলো ধরতে খুব একটা কষ্ট হয় না প্রশাসনের।ঠিক তেমন একটি জটিল অপরাধ ধরে ফেল্লেন,কলারোয়া উপজেলার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মনিরা পারভীন।

সাধারনতঃ ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া কোন কাজ ই মানুষের সম্পন্ন হয় না।ব্যাংক এ্যকাউন্ট খুলতে ভোটার আইডি কার্ড লাগে,স্কুল -কলেজে ভর্ত্তি হতে ভোটার আইডি কার্ড লাগে,জমি-জমা কিনতে গেলে ভোটার আইডি কার্ড লাগে,যান-বহনের রেজিস্ট্রশন করতে গেলেও ভোটার আইডি কার্ড লাগে।চাবুরীতে দরখাস্ত দিতেও ভোটার আইডি কার্ড লাগে,ভোটে দাড়িয়ে নির্বাচন করার সময়ও ভোটার আইডি কার্ড লাগে।এক কথায় ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া যে কোন মানুষের সঠিক পরিচয় নির্নয় করা সম্ভব নয়।ইদানিং ঢাকা শহরে জঙ্গিরা ভোটার আইডি কার্ডের গ্রামের নাম, ঠিকানা পরিবর্তন করে ভুয়া কার্ড বানিয়ে বিভিন্ন বাসায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন।যেটা আমরা আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গি বিরোধী অভিযানে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখেছি।আর এই জঘন্যতম অপরাধ মুলক কাজ টি অত্যান্ত গোপনে করে যাচ্ছিল সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার উর্মী ডিজিটাল স্টুডিও।গোপন সংবাদের ভির্ত্তিতে আজ ৩০ শে জানুয়ারী ২০১৮ তারিখ আনুঃ বেলা ১১ টার সময় কলারোয়া উপজেলার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ও নির্বাহী অফিসার জনাব মনিরা পারভীন হানা দেন উক্ত স্টুডিও তে।তিনি স্টুডিও’র বিভিন্ন ল্যাবটব ও কম্পিউটার চেক করে হাতে নাতে ভুয়া আইডি কার্ড তৈরির নমুনা এবং বানানো ভুয়া আইডি কার্ড দেখতে পান।

ভোটার আইডি কার্ড নকল ভাবে প্রস্তুত করার অপরাধে উর্মি ডিজিটাল স্টুডিও এন্ড ফটোস্ট্যাট এর মালিক মোঃ আব্দুল কাদের ও শাহিন ডিজিটাল স্টুডিও এন্ড ফটোস্ট্যাট এর মালিক মোঃ শাহিন আলম; উভয় কে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন,কলারোয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব মনিরা পারভীন।

কলারোয়া থানা পুলিশ সার্বিক ভাবে উক্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালীন সময় বিজ্ঞ আদালত কে সহযোগীতা করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন