১১ দিনের বিরতি দিয়ে তৃতীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে ঢাকার চারপাশের নদী দখলমুক্ত করার অভিযান। মঙ্গলবারের অভিযানে বিআইডব্লিউটিএ আশুলিয়ায় তুরাগ রিক্রিয়েশন ওয়ার্ল্ড পার্ক ও এনডিই রেডি মিক্স প্ল্যান্টসহ উচ্ছেদ করে প্রায় ২০টির মতো স্থাপনা।
উচ্ছেদে জব্দ করা পাথর ও বালু নিলামে বিক্রি হয় কোটি টাকারও বেশী মূল্যে। তৃতীয় পর্যায়ে অভিযানের তালিকায় বেশ কিছু শিল্প কারখানাও রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
তুরাগ নদের বিরুলিয়া অংশ দখল করে নির্মিত তুরাগ রিক্রিয়েশন ওয়ার্ল্ড। যেখানে নদীর মধ্যেই ডাইনোসর বিশালাকৃতির এই গেটটি সদৃশ গড়ে তোলা হয় ।
তৃতীয় পর্যায়ের অভিযানে মঙ্গলবার পার্কটির অবৈধ অংশ গুড়িয়ে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। উচ্ছেদ করা হয় পার্কটির অন্যান্য অবৈধ স্থাপনাও। একই সময় তার ঠিক বিপরীত পাশ মিরপুর বেড়িবাধ অংশে নদীর জায়গায় গড়ে তোলা এনডিই রেডি মিক্স প্লান্টটিএ অপসারন করে সংস্থাটি।
মেশিনারিজ উচ্ছেদ শেষে রেডি মিক্স প্লান্টের জব্দ করা বিপুল পরিমান পাথর ও বালু কোটি টাকারও বেশী নিলামে বিক্রি করে দেয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বিআইডব্লিটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তুরাগ নদীর দুই পাশে বিনোদন কেন্দ্র ও সিমেন্ট রেডি মিক্সের প্রতিষ্ঠান আছে। সীমানার ভেতরের গুলো আমরা উচ্ছেদ করেছি। পাথর নিলাম করে প্রায় ৮০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এদিন অপসারণ করা হয় তুরাগ পাড়ে গড়ে তোলা টেক্স ইউরো বিডি নামে একটি প্রতিষ্ঠানও। বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ের অভিযান আগের চেয়ে আরো জোরালো হবে।
বিআইডব্লিটিএ’র ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ. কে. এম. আরিফ উদ্দিন বলেন, যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে আমরা সেগুলো রেড মার্ক করা হয়েছে। আমাদের গতি বেড়েছে। সামনে কিছু কারখানা পাবো। সেগুলোও উচ্ছেদ করা হবে।
প্রথম দুই পর্যায়ের ২৪ দিনের অভিযানে ৬১ একর নদীর জায়গা দখলমুক্ত ও প্রায় তিন হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।