সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):প্রধান নির্বাচন কশিনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেয়ার আগ্রহ ও ইচ্ছার প্রতি সম্মান রেখেই নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার হবে। মূলত: ভোটারদের স্বার্থ রক্ষা করাই হবে ইভিএম পদ্ধতির ভূমিকা।
তিনি আজ (শনিবার) দুপুরে খুলনা পাবলিক হল চত্ত্বরে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আইনের ভিত্তিতে সবার মতামত নিয়ে সীমিত আকারে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। এটি জোর করে চাপিয়ে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পাইলট আকারে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেয়া হয়েছে, যা দক্ষতার সাথে সফল হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করলে নির্বাচনী ব্যয় ও জনবল কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। যারা ইভিএম’র বিরোধিতা করেন তাদের তিনি ইভিএম পদ্ধতি দেখে বুঝে পরামর্শ দেয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জনাব মোঃ লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি জনাব মো. দিদার আহম্মদ,কেএমপির পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির,অতিরিক্ত ডিআইজি জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান, র্্যাব-৬ এর অধিনায়ক এবং পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ।
সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। ইভিএম সম্পর্কি উপস্থাপন করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়ন মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন। স্বাগত জানান খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী।
ইভিএম পদ্ধতির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হলো: জালভোট প্রদান, একজনের ভোট অন্যজনে প্রদান কিংবা একাধিক ভোট প্রদানের সুযোগ নেই; ইন্টারন্টে সংযোগ না থাকায় হ্যাকিং করার সুযোগ নাই; ভোট প্রদান শেষে খুবই স্বল্প সময়ে ভোট কেন্দ্রের ফলাফল প্রদান করা যায়; মাত্র দুটি বোতাম চেপে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। এছাড়া ইভিএম-এ ফলাফল পরিবর্তনে কোন সুযোগ নেই।
পাবলিক হল চত্ত্বরে প্রদর্শনীতে নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডের ভোটারদের ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদানের ধারনা এবং ভোট গ্রহণের মহড়ার আয়োজন করা হয়।
তথ্যবিররনী।