করোনার ভ্যাকসিন উপহার দিয়ে ভারত বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভারতীয় টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
দুপুরে বাংলাদেশের কাছে ২০ লাখ করোনার টিকা হস্তান্তর করেছে ভারত। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা হস্তান্তর করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকের কাছে ভ্যাকসিন হস্তান্তর করেন ভারতের হাইকমিশনার।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে আপাতত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে অন্য কোনো দেশের থেকে ভ্যাকসিন আনা প্রয়োজন পড়লে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি, চীনের সঙ্গেও যোগাযোগ আছে। যে ভ্যাকসিনগুলো আমরা আপাতত নিয়ে আসছি, এগুলো এখন দিতে থাকব, এরপর যদি অন্যান্য দেশের ভ্যাকসিন আনার প্রয়োজন হয়, তাহলে সে বিষয়েও আমরা পদক্ষেপ নেব।
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা এখনও কোনো সময় দেইনি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, টিকা কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হবেন। আমরা সময় চেয়েছি, তিনি সময় দিলেই পরে আমরা সময় ঘোষণা করব। এর মধ্যে যদি কেউ কোনো সময় বলে থাকে, সেটা সঠিক নয়।
জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন আনা হয়েছে, এর প্রয়োগ নিয়ে কমিটি করে দিয়েছি। এখন সেই কমিটি এই ভ্যাকসিনের স্টোরেজ ও কোথায় কোথায় দেওয়া হবে এবং দেওয়ার জন্য ৪২ হাজার কর্মী বাছাই ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি বাংলাদেশে ভ্যাকসিন দেওয়ায় কোনো সমস্যা হবে না। এ বিষয়ে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা আছে। যেকোনো ভ্যাকসিনে কম বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, ওষুধেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, এটা জেনে নিয়েই আমরা ভ্যাকসিন দেব।
ভারত মুক্তিযুদ্ধেও পাশে ছিল, কোভিডেও পাশে আছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন বন্ধুরাষ্ট্র ভারত বাংলাদেশের পাশে ছিল, মহামারি করোনাভাইরাসের সময়ও এসে পাশে দাঁড়িয়েছে। এ বন্ধুত্ব ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশিদ আলম প্রমুখ।