বিজয় দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধী সৌধ বেদীতে প্রথমে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার।
এরপর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী ইমদাদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, গোপালগঞ্জ পৌরসভা, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের নিহত সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এরপর সময় সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের ঢল নামে বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ এলাকায়। এসময় জাতির শ্রেষ্ঠ নায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুর সমাধী স্থল ফুলে ফলে ভরে উঠে। বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধী স্থল বিভিন্ন রঙ্গিন বাতি দিয়ে আলোকিত করা হয়।
এছাড়া ভোর ৬টা ১মিনিটে শহরের শেখ কামাল ক্রিকেট ষ্টেডিয়ামের পাশে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের পাশে তোপধনি দেওয়া হয় ও স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজ, অণির্বাণ স্কুলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ। পরে জেলা শহরের পৃথক ভাবে বিজয় র্যা লী বের করা হয়।
এরপর সকাল ৮টায় শহরের গোপালগঞ্জ শেখ কামাল ষ্টেডিয়ামে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কুচকাওয়াজের উদ্ধোধন করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান। এ কুচকাওয়াজে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করে।