কাজী আতিক: মোরেলগঞ্জে বিবস্ত্র অবস্থায় হিরা আক্তার(১২) নামে এক মাদরাসা ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন খুলনা রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল DIG ড.খ: মহিদ উদ্দিন, বিপিএম (বার)। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে তিনি পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামের গাউছ শেখের বাড়িতে যান। মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম, থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম এসময় তার সাথে ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে ‘হিরার খুনিদের গ্রেফতার ও খুনের কারন উদ্ঘাটনের জন্য তদন্তে সকল ধরণের প্রযুক্তি দিয়ে তদন্তকারি দলকে সহায়তা করা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই এ হত্যাকান্ডের কিনারা পাওয়া যাবে’।তিনি বলেন, খুনিরা যেই হোক আর যাই হোক, এঘটনায় কোন অপরাধী ছাড় পাবেনা।
এদিকে বৃহস্পতিবার বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ নিহত হিরার পরিবারকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। ঘটনাটির জন্য গভীর দু:খ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, হিরার পরিবারের ক্ষতি কেউ পুশিয়ে দিতে পারবেনা। তিনি ঘটনার বিষয়ে সার্বক্ষনিক খোজখবর নিচ্ছেন বলেও জানান।
থানার ওসি(তদন্ত) ঠাকুর দাশ মন্ডল প্রতিবেদক কে বলেন, মাদরাসা ছাত্রী হিরা আক্তারকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এজাহার নামীয় আসামি ৫ জন। এর মধ্যে ২জন এজাহার নামীয় আসামি ফুলহাতা গ্রামের কলেজ ছাত্র ওসমান সিকদার(২৪), প্রতিবেশী হরমুজ শেখের স্ত্রী রানী বেগম(৫০) ও সন্দিগ্ধ আসামি একই এলাকার শাহীন মৃধা(১৯) ও রফিকুল মৃধাকে(২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি প্রতিবেশী ফারুক শেখসহ অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য এলাকায় অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামের গাউছ শেখের নীজ বসতঘরে বিবস্ত্র অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় তার মেয়ে হিরা আক্তারের। খুনিরা হিরার নগ্ন শরীরে লিপিস্টক মেখে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে যায়।
হিরা আক্তার স্থানীয় ছাপড়াখালী গাজীরঘাট দাখিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। পিতা গাউছ শেখ ও একই মাদরাসার নৈশ প্রহরী।