আবারো মানবিকতায় দৃষ্টান্ত স্থান করলেন কালিগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম সুমন।বৃহম্পতিবার রাতে রাস্তায় টহলকালে এসআই তরিকুল দেখতে পান এক অসহায় মা তার ছোট্ট শিশু কণ্যাকে নিয়ে রাস্তার ফুটপাত দিয়ে হাটছে।টহল গাড়িতে বসে এসআই তরিকুল দেখতে পেলেন শিশু কণ্যাটির গায়ে কোন শীত বস্ত্র নেই। সে ঠান্ডায় থরথর করে কাঁপছে। এসমসয় এসআই তরিকুল ইসলাম টহল গাড়িতে বসে ঐ মহিলা কে ডাক দিলেন। টহল গাড়ির কাছে আসলে এসআই তরিকুল তাকে প্রশ্ন করলেন আপনি রাতের বেলায় শীতের মধ্যে ছোট্ট একটা শিশু নিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু শিশুটির গাড়ে কোন শীত বস্ত্র নেই কেনো? এসআই তরিকুলের প্রশ্ন শুনে অসহায় মা কেঁদে ফেলে বলেন স্যার,আমরা গরীব মানুষ, স্বামী চলে গেছে অন্যাত্র বিয়ে করে আমি থাকি বাপের বাড়ি। আমি দর্জির কাজ করে যা আয় করি তাতে আমার সংসার ঠিকমত চলেনা এমতাবস্থায় মেয়ের সোয়েটার কিনবো কিভাবে??অসহায় মা আরো বলেন,শীতের সময় শীতের কামড় আর গরমে মশার কামড় খেয়ে আমার ছোট্ট কণ্যার দিন পার হয়।অসহায় মহিলার কথা গুলো শুনে এসআই তরিকুল কেঁদে ফেলেন এবং ঐ মহিলা ও তার শিশু কণ্যা কে সাথে নিয়ে কালিগঞ্জ বাজারে গিয়ে একটি সোয়েটার ও একটি বেবি মশারী কিনে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালিগজ্ঞ থানার সাব-ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম সুমন আপডেট সাতক্ষীরা কে জানান
একদিকে শীত আর অন্যদিকে মশার কামড় সহ্য করতে পারছিলো না শিশু মেয়েটি। ঠিকমতো ঘুমাতে পারছিলো না। মা তার পাশে বসে বৃথা ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছিলো। বিষয়টি লক্ষ্য করছিলাম দুর থেকে। তারপর দোকান থেকে সোনামনির জন্য কিনে আনলাম নতুন মশারী, মাথার বালিশ, দুইটা কোল বালিশ, তোষক, আর শীত বস্ত্র। অতপর শিশু মেয়েটি আরামে ঘুমালো। খুব আনন্দ লাগছিলো।
প্রাসংঙ্গত এসআই তারিকুল ইসলাম সুমন প্রতি বৎসর ভেলেন্টাইন্স ডে তে রাস্তার অসহায় ও গরীব শিশুদের কে নতুন নতুন জামা কিনে দিয়ে তাদের নিয়ে ঐ দিন টি উদযাপন করেন যেটা তার ফেইজবুক আইডি থেকে জানা গেছে।
১ মন্তব্য
এটা আমার ভাই।। আমার গব আমার অহংকার