নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, বাংলাদেশে এখন দুটি ধারার রাজনীতি চলছে। একটি হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর অপরটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষের অপশক্তি। স্বাধীনতার বিপক্ষের সকল অপশক্তিকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে।
নৌমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশকে উন্নয়নের পথে আরো এগিয়ে নিতে হবে।’
৬-দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত শ্রীমঙ্গল অভিমুখে ‘জনতার অভিযাত্রা’ কর্মসূচির উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ এ অভিযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে।
শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন-এর আহ্বায়ক শাজাহান খান বলেন, ‘২০০৪ সালে সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু করেছিল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে এখন ষড়যন্ত্র করছে। তারা কোটা সংস্কারের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিলের ষড়যন্ত্র করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অধীনে দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজাকারদের বিচার, জঙ্গি দমন, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। জামাত-শিবির দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ, নাট্য ব্যক্তিত্ব রোকেয়া প্রাচী, শ্রমিক লীগ নেতা সাহাবুদ্দিন মিয়া, সিবিএ নেতা মোঃ কামালউদ্দিন।
প্রসঙ্গত, জামায়াত-শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সরকারি চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা এবং তাদের সন্তান ও উত্তরসূরিদের সরকারি চাকুরিতে নিয়োগ না দেওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে ৬-দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শ্রীমঙ্গল অভিমুখে জনতার অভিযাত্রা জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়।
জনতার অভিযাত্রা জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গিয়ে শেষ হবে। পথিমধ্যে নরসিংদীর ইটাখোলা মোড়, ভৈরব বাস টার্মিনাল, ব্রাম্মণবাড়িয়ার চৌরাস্তায় ৬-দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমাবেশ, হবিগঞ্জের মাধবপুরে লিফলেট বিতরণ এবং শায়েস্তাগঞ্জে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্রঃখুলনার কন্ঠ ডটকম।