শোককে শক্তিতে পরিনত করে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়ে সাতক্ষীরায় পালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস। জেলাব্যাপী দিনভর নানা কর্মসূচী ছাড়াও এ উপলক্ষে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা। এতে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পলাতক অবস্থা থেকে ধরে এনে বিচার বাস্তবায়ন করাই হবে আজকের প্রতিশ্রুতি।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির মর্যাদা তুলে ধরেছেন, বিশ্ব দরবারে বাঙালিদের পরিচিতি করিয়েছেন, মহান স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে রূপ দিয়েছেন। ১৫ই আগস্টের কালো রাতে যে সমস্ত বিপথগামী সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল তারা জাতির কলঙ্ক। তাদের প্রতি ঘৃনা ছুড়ে দিয়ে বক্তারা বলেছেন, এখনও যারা ফাঁসিতে ঝোলেনি তাদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। ইতিহাসের এই বর্বর হত্যাকান্ডের বিচার করতে না দেওয়ার লক্ষ্যে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির পথপ্রদর্শক, তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ১৯৪৮ সালেই উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষনার প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। এভাবেই আন্দোলন সংগ্রাম বছরের পর বছর কারাবাস এবং বহু নির্যাতনের শিকার হয়েও তিনি বাঙালি জাতিকে শৃংখলমুক্ত করতে চেয়েছিলেন। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষন দিয়ে তিনি বাংলা ভাষাকে মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বিশ^ আজ দুইভাগে বিভক্ত। শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতদের পক্ষে।
প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার অরুন ব্যানার্জী, সাবেক সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, প্রেসক্লাব নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, সাবেক সহসভাপতি কালিদাস কর্মকার, প্রেসক্লাব নির্বাহী সদস্য গোলাম সরোয়ার ও দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক লায়লা পারভিন সেঁজুতি।
Dainik Satkhira