টাকা এবং মোটরসাইকেল দাবি করায় উপর্যুপরিভাবে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর এলাকার নজর আলীর ছেলে নুর জামাল ওরফে ছোট বাবুকে। খুন করার পর দুটি মোটরসাইকেলে তারা শার্শা উপজেলার কালিয়ানীর মাঠে বাবুর লাশ ফেলে ঝিকরগাছা বাজারে পৌঁছায়।

এভাবে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ছোটবাবু হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের আব্দুর রউফ ওরফে বাবলু ডাক্তারের ছেলে তাজরিয়ান মাহমুদ তুর্য, ইমরান রেজা খোকনের ছেলে তাজীবুল বিশস, কামরুল ইসলামের ছেলে শাহিন হোসেন, আব্দুর রহিমের ছেলে আবু জাফর এবং মল্লিকপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম।

শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন সিকদার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কৃষ্ণনগর গ্রামের নজর আলীর ছেলে নুর জামাল ওরফে ছোটবাবু সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামে তার মায়ের সাথে বসবাস করেন। আটকরা গত ৩০ জুলাই দুপুরে মোটরসাইকেল নেয়ার কথা বলে তাকে ডেকে ঝিকরগাছায় নিয়ে আসে। রাতে দুটি মোটরসাইকেল করে শার্শার কাশিয়ানী গ্রামের জাফর আলীর মাঠে যায়। সেখানে ছোটবাবুকে জোর করে ফেনসিডিল সেবন করায়। এরপর জাফর ছোটবাবুকে প্রথমে ছুরি মারে। এসময় সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পেছন থেকে জাফর ও অনবরত ছুরি মারে। তারা মোট ২৪টি ছুরিকাঘাত করলে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনাস্থলে আটকরা ছাড়াও সাজ্জাদ নামে আরো এক যুবক ছিল।

খুনিদের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল, একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতের পকেট থেকে উদ্ধার মোবাইল সেটের কললিস্ট ধরে খুনিদের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই কাশিয়ানী মাঠ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। এসময় নিহতের পকেটে একটি মোবাইল ছিল। সেই মোবাইলের সূত্র ধরে নিহত যুবকের মা নুরজাহানকে শনাক্ত করে পুলিশ। ওই দিন বিকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে লাশটি নুরজামাল ওরফে ছোট বাবুর বলে তার নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় নুরজাহান শার্শা থানায় মামলা করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন