একাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোরে ৬টি সংসদীয় আসনের পাঁচটিতেই নৌকার মনোনয়ন পেলেন বর্তমান সংসদ সদস্যরা। বাকী একটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হয়েছে। শুধুমাত্র যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। এ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) ডা. নাসির উদ্দিন। মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে ব্যাপক আলোচনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর-১ (শার্শা) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীন পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন। এর আগে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। ২০০১ সালে পরাজিত হলেও পরবর্তী দুটি নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা- চৌগাছা) আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) ডা. নাসির উদ্দিন। তিনি এবারই প্রথম সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেলেন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
যশোর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তিনি ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। তার মনোনয়ন প্রাপ্তির খবরে দলীয় নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাস করেছে।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়কে পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান টিপু সুলতানকে পরাজিত করে স্বপন ভট্টাচার্য বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেবার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তিনি দল থেকেও বহিস্কার হন। পরবর্তীতে তাকে দলে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেককে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
তার আসনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ব্যাপক গ্রুপিং রয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অধিকাংশ নেতাকর্মী ইসমাত আরা সাদেক বিরোধী হিসেবে পরিচিত। দলীয় কোন্দলের মাঝে ইসমাত আরা সাদেককেই পুনরায় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
সূত্র:স্পন্দন ডটকম।