গত ২৮ ডিসেম্বর বিকাল ৫.৩০ মিনিটে বাদী তার জীবিকা অর্জনের একমাত্র অবলম্বন ইজিবাইকটি রেখে শহরের রাজ্জাকপার্কের মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যায়। নামাজ পড়ে এসে বাদী দেখতে পায় অঞ্জাত ব্যক্তিরা তার ইজিবাইকটি চুরি করে নিয়ে যায়।
পরে ইজিবাইকে র মালিক সাতক্ষীরা থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করে অঞ্জাতনামা আসামী করে।যার মামলা নংসাতক্ষীরা থানার মামলা নং ২৫ তারিখ -১০/১২/২০২১খ্রিষ্ট্রাব্দ ধারা ৩৭৯ পিসি।
পরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুুজ্জামানের তত্বাবধায়নে সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ইন্সপেক্টর বাবুল আক্তার ও সদর ফাড়ির আইসি ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে এসআই মনির রাজ্জার্ক পার্কের আশেপাশে র দোকাপাটের শতাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে গতকাল রাত ১১ টার দিক পুরাতন সাতক্ষীরার হাটখোলা বাজার থেকে ইজিবাইক চোর ইয়াছিন আরাফাত কে আটক করতে সক্ষম হয়।
শনিবার রাতে এক প্রেস ব্রিফিং এ সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বাবুল আক্তার জানান, আটকৃত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামী কে নিয়ে পুলিশ অভিযানে যায় এবং তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক সাবেক কমিশনার শেখ সেলিমের অফিসের সামনে থেকে ইজিবাইকটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ইন্সপেক্টর তদন্ত বাবুল আক্তার আরো জানান, ধৃত আসামী ইয়াছিন কে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় চুরির সাথে হাবিবুল্লাহ বাহার নামে একজন জড়িত। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ব্রক্ষ্মরাজপুর কাজীর বাসার পাসে তার নিজ বাসা হতে হাবিবুল্লাহ বাহার কে আটক করে পুলিশ।
আটককৃত আসামীদের নাম ইয়াছিন আরাফাত, পিতা- মৃত মোকছেদ আলী কারিগর, গ্রাম – ধুলিহর।অপর আসামীর নামে হাবিবুল্লাহ বাহার, পিতা- আব্দুল ওয়াব, গ্রাম ব্রক্ষ্মরাজপুর, সদর,সাতক্ষীরা।
প্রেস ব্রিফিয়ে আরো জানানো হয় আটককৃত আসামীদ্বয় ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক এই চক্রের অপর সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত আছে বলে জানান ইন্সপেক্টর তদন্ত বাবুল আক্তার।