সম্প্রতি বেশকিছু ঘটনার দ্রুততম রায় দেওয়ায় বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা বহুগুণ বেড়েছে। রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। একের কাজে অন্যের হস্তক্ষেপ শান্তি ও ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিচার বিভাগীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সব নাগরিকেরই ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আইন, নির্বাহী ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ের বিকল্প নেই। তাই ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায়ও মামলার রায় লেখার বিষয় বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৯ এ সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রস্তাব করেন যে, দেশে বঙ্গবন্ধু আইন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া প্রয়োজন। সেটা হবে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেখান থেকে দক্ষ বিচারক পাওয়া যাবে।
প্রধান বিচারপতির সেই প্রস্তাব ভালো লেগেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুু আইন বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত প্রধান বিচারপতির প্রস্তাবটি আমার খুব ভালো লেগেছে। এটা একটা নতুন প্রস্তাব। অনেক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, এটা হবে না কেন?
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আইনমন্ত্রীকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে যা যা করণীয় তা করে ফেলেন। আমি বঙ্গবন্ধু আইন বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব।
জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রস্তাব মেনে নেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এছাড়া এতে অতিথি হিসেবে একাধিক মন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা উপস্থিত আছেন। অন্যবার রাষ্ট্রপতি থাকলেও এবারই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে আছেন।