লকডাউন কার্যকর করতে যশোরে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের যৌথ টহল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যশোরে করোনা সংক্রমণ এড়াতে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ জুলাই ২০২১খ্রিঃ দুপুর ১২.০০ ঘটিকায় যশোর সদরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সর্বসাধারণের অবাধ চলাচল ঠেকাতে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ যৌথভাবে টহল পরিচালনা করে।টহল শেষে দড়াটানা পুলিশ চেকপোস্টের সামনে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জেলার করোনা সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের গৃহিত সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। উক্ত ব্রিফিং এ জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান , পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম(বার), পিপিএম ও জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহীন মহোদয় বক্তব্য রাখেন।
এসময় পুলিশ সুপার বলেন, আমরা গত ১০জুন হতেই যশোর জেলা লকডাউনের ভিতরে আছি।সারা জেলায় আমরা ইতোমধ্যে ৬০টি পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছি এবং এর পাশা-পাশি চলছে নিয়মিত মোবাইল পার্টি। করোনার প্রথম থেকেই আমরা জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন, স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ এক সাথে কাজ করে যাচ্ছি এবং এখন আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা।
প্রতিটি গ্রাম বা ইউনিয়নে আমাদের বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।আমরা সকলের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে জরুরি পরিসেবা ব্যতীত সকল ধরনের যাতায়াত বন্ধ রেখেছি।অতীব জরুরি ছাড়া সকলকে ঘরে রাখতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
একই সাথে সকলকে করোনা সংক্রমণ এড়াতে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি ও জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং নিতান্ত প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাহিরে না আসার আহবান জানান। আর যদি কেউ অযথা বাহিরে ঘোরাফেরা করেন তবে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, বিজিবি, বিজিবি, সাংবাদিকবৃন্দ সহ জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।