নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেছেন, সারা দেশে লকডাউন শুরু হয়েছে। আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি এবং মিডিয়া কর্মী ভাইদের নিয়ে এক সাথে কাজ করার চেষ্টা করছি। আমি নারায়ণগঞ্জবাসীদের আহ্বান জানাবো আসুন আমরা একে অপরকে সহয়তা করি। ঘর থেকে বের না হই। স্বাস্থবিধি মেনে চলি। সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা মেনে চলি। কেউ যদি এই নির্দেশে পালন না করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সর্বাত্বক লকডাউনের প্রথম দিন বুধবার (১৪ এপ্রিল) চাষাড়া চত্বরে নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে প্রেসব্রিফিংকালে এ কথা বলেন পুলিশ সুপার।
লকডাউনের মধ্যে যাতায়াতের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে ৩০টার অধিক চেক পোষ্ট বসিয়েছি। আমরা যে কোন যাত্রিবাহী পরিবহনকে জেলার ভেতর প্রবেশ করতে দিবো না। অন্য জেলা থেকে কোন লোকজন নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে পারবে না। কলকারখানা খোলা থাকবে, পন্যবাহী পরিবহন চলাচল করতে পারবে। নৌকা দিয়ে পারাপারের ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ মিলে কাজ করবে তবে কোন ব্যক্তি বিনা কাজে খেয়া পারাপার করতে পারবে না।
পাড়া মহল্লা ও গ্রাম অঞ্চলের লকডাউনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি লকডাউনে গ্রামে বা পাড়া মহল্লায় মানুষ বাসা থেকে বের হয়ে একসাথে জটলা করে। তাই সেখানে জনপ্রতিনিধিরা জনসচেতনাতা বৃদ্ধি করাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের জেলা পুলিশও কাজ করে যাচ্ছে।
‘মুভমেন্ট পাস’ সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা আগেই বলেছি কেউ যদি অসুস্থ হয়, টিকা দিতে যায় বা ঔষধ কিনতে যেতে হয় তা হলে আমরা একটি সময় দিয়ে রেখেছি সেই সময়ের মধ্যে তাদের সব রকমের কেনা কাটা করতে হবে। আমাদের মাননীয় আইজপি স্যার ‘মুভমেন্ট পাস’ এর ব্যবস্থা করেছেন। কেউ যদি কোথাও যেতে চায় তাহলে সেই পাসে সব রকমের অপশন দেয়া আছে সেখানে আপনারা উপযুক্ত কারন জানালে আপনি কার্ড টি পেয়ে যাবেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শফিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, সহকারি পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) সুবাস চন্দ্র সাহাসহ জেলা পুলিশের সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দ।