শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর হাসিমুখ ছবিটিকে লোগোর জন্য নির্বাচিত করেছিলেন মুজিবকন্যা নিজেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর এ লোগোটিই ব্যবহার হচ্ছে মুজিববর্ষ উদযাপনে। অকুতোভয় বীরদর্পী নেতৃত্ব দেওয়া মহান নেতার মুখচ্ছবি নিয়ে তৈরি ঐতিহাসিক এই লোগোটির একটি দীর্ঘস্থায়ী রূপ দিতেই অপরূপ শিল্প-সুষমামতি হৃদয় নিয়েই অনবদ্য-অনিন্দ্য এক প্রয়াস নিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের কিংবদন্তি ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড.বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)।

‘ওই মহামানব আসে। দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে, মর্তধূলির ঘাসে’ কালজয়ী পুরুষকে নিয়ে নিজের ভাবনা-চিন্তা, আদর্শবোধের মাধ্যমে নিজেদের আত্নপরিচয়ের অভিব্যক্তিই যেনো প্রকাশ করেছেন বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারীর সুমৃত্তিকায় জন্ম নেওয়া এ পুলিশপ্রধান। মহান স্বাধীনতার স্থপতির জন্মশতবর্ষে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি এমন একটি শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দিয়েছেন নেতৃত্ব ও মানবিকতায় বিশ্বময় দ্যুতি ছড়ানো আস্থার প্রতীক বঙ্গকন্যাকে।

কিন্তু আলোকময় ভাবনা-চিন্তার সৃষ্টিশীল এ মানুষটি তখন স্বশরীরে উপস্থিত রাজধানী থেকে প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার দূরের পদ্মা নদীর পূর্বপাড়ের সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে।

অতিমারির ভয়াল থাবায় প্রধানমন্ত্রীকে পদ্মারপাড়ে শতবর্ষের প্রাচীন পুলিশ একাডেমিতে স্বাগত জানাতে না পারার আক্ষেপ নিজের কন্ঠে ধ্বনিত হলেও ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত হওয়ায় নিজেদের উজ্জীবিত করার বিষয়টিও সবার মানসপটেই ভাসিয়েছেন সহজ-সরল শব্দমালায়।

রোববার (৩ জানুয়ারি) সকালে ৩৭তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নিজের স্বাগত বক্তব্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক ড.বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আপনি সংযুক্ত হওয়ায় আমরা সবাই অত্যন্ত আনন্দিত, উজ্জীবিত এবং গর্বিত।

শত ব্যস্ততা এবং করোনাকালীন সঙ্কটময় মুহুর্তেও আপনার সানুগ্রহ সংযুক্তি আজকের অনুষ্ঠানকে মহিমান্বিত করেছে।’

অনুষ্ঠান শেষে পুলিশের আইজির পক্ষে মুজিববর্ষের ঐতিহাসিক লোগোর এই শুভেচ্ছা স্মারক প্রধানমন্ত্রীকে প্রদান করেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (চলতি দায়িত্বে) এস এম রুহুল আমিন।

ইতিহাসের উজ্জ্বল-প্রোজ্জ্বল এক অচিন্তিত পূর্ব কালান্তরের সূচনা ঘটানো বাঙালি জাতির পিতাকে নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এমন একটি ভাবনা মোহিত করেছে প্রধানমন্ত্রীকেও। আরও শত বছর মুজিববর্ষের লোগো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্যই আরেকটি নতুন কনসেপ্ট সামনে নিয়ে এসেছেন ড.আহমেদ।

পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মো:  হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার এঁর দেওয়া তথ্যমতে, ‘শুভেচ্ছা স্মারকটি
‘রেজিন’ নামক এক ধরণের সিন্থেটিক ফাইবার দিয়ে তৈরি করা। এই ধরণের সিন্থেটিক ফাইবার স্পিডবোটের উপকরণ তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়।

তিনি আরও জানান, কাঠের পাটাতনটির উচ্চতা ১ ফুট ও দৈর্ঘ্য ৬ ফুট। মনোগ্রামের উচ্চতা ৪ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ৫ ফুট । অস্ট্রেলিয়ার ক্যাঙ্গারু রং ব্যবহার করা হয়েছে যা শত বছরে ও মলিন হবে না ।

দীর্ঘ ৩৩ বছরের বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে অসম সাহস ও নেতৃত্বে ঔজ্জ্বল্য ছড়ানো ড.বেনজীর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উন্নত চিন্তা, সর্বজনীনতা ও মানবিক মূল্যবোধে ২০৪১ সালের ধনী দেশের উপযোগী পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে এক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথেই অগ্রসর হচ্ছেন। সোজাসাপ্টা এ কাজের মানুষ স্বভাবতই অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আপত্য স্নেহ।

বারবার পুলিশ বাহিনীও ‘অভিভাবক’ হিসেবে পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। উচ্ছ্বসিত কন্ঠেই পুলিশের বহুমাত্রিক কর্মযজ্ঞ ও সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। সারদার অনুষ্ঠানেও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও পুলিশের প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা বলেছেন। পুলিশকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে নিজের সরকারের কার্যক্রমের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।

করোনা মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনীর সম্মুখ সারিতে লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান ড.বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারি মোকাবিলায় আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণ সামনে থেকে লড়াই করেছে। ফলে এ বাহিনীর প্রায় ৮৪ জন সদস্য শাহাদাতবরণ করেছে।

২২ হাজারের বেশি সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরেও তারা পিছপা হয়নি। আপনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় তারা সম্মুখ সারিতে লড়াই করে গেছে। এর ফলে করোনা মোকাবিলায় আমরা সফল হয়েছি।’

সংবাদ কালের আলো ডটকম।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন