♣♣♣♣
নগরীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত হয়েছে। মহানগর ও জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের যৌথ আয়োজনে দুই দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নবনির্বাচিত মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, দুষ্টের দমন ও সৃষ্টের লালন করতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই পৃথিবীতে আবর্তিত হয়েছিলেন। ওই সময় কংস রাজার অত্যাচারে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। কংস রাজাকে বধ করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাই শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুবই গুরুত্ব বহন করে।

নবনির্বাচিত মেয়র আরও বলেন, একইভাবে আমাদের বাঙালি জাতির ওপর বিভিন্ন সময়ে নিপীড়ন ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালে তাকে নির্মমভাবে হত্যার পর অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছিল বাঙালি জাতির ভবিষ্যৎ। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আবারও স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে যেতে খুব বেশি বাকী নেই। আর সেই মুহূর্তে দেশে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে জামায়াত-বিএনপির মদদদাতা কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তি। তারা নিজেদের ফায়দা লুটতে দেশকে আবারও অশান্ত করতে চায়। কিন্তু তাদের কোনো ষড়যন্ত্র দেশের জনগন মেনে নেবে না। আগামী ডিসেম্বরে সঠিক সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তা কেউ বানচাল করতে পারবেনা। বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর বিকল্প কেউ নেই। এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিকল্প বাংলাদেশে তৈরি হয়নি।

রোববার দুপুর ১২টায় আর্য্য ধর্মসভা মন্দিরে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল হালদার। আলোচনা সভা শেষে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আলোচনা সভা ও মঙ্গল শোভাযাত্রা পরিচালনা করেন মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কু-ু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজেশ কুমার রাইনা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, পূজা উদ্যাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও মহানগর সহ-সভাপতি অরবিন্দ সাহা, সাবেক সভাপতি বিজয় ঘোষ, আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল সিংহ রায়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অসিত বরণ বিশ্বাস। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণপদ দাশ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রায়, ইসকন খুলনার প্রধান উপদেষ্টা ড. তপচৈতন্য দাস ব্রহ্মচারী, পূজা পরিষদ সহ-সভাপতি রজত কান্তি দাস, রনজিত কুমার ঘোষ, উদয়নাথ মুন্সী, সুদীপ মজুমদার অপু, বিমান সাহা, সংরক্ষিত কাউন্সিলর কনিকা সাহা, অ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, দুলাল সরকার, তিলক গোস্বামী, বিপ্লব মিত্র, ডাঃ শেখর রঞ্জন পাল, আশিষ কবিরাজ, বিশ্বজিতৎ দে মিঠু, রামচন্দ্র পোদ্দার, অনিমেষ সরকার রিন্টু, সুভাষ দত্ত, প্রকাশ অধিকারী, দীপক দত্ত, বিপ্লব সাহা লব, উজ্জ্বল ব্যানার্জী, ভোলানাথ দত্ত, রতন দেবনাথ, বিকাশ কুমার সাহা, রাজু শীল, রুপন দে, মহাদেব সাহা, রবীন্দ্রনাথ সাহা প্রমুখ। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে হাজার হাজার ভক্ত ধর্মীয় শোভযাত্রায় অংশ নেন। এছাড়া আর্য্য ধর্মসভা মন্দির প্রাঙ্গনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ধর্মী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ১২টা ১ মিনিটে কৃষ্ণ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ধর্মীয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন