শহরের মুনজিতপুর একাডেমি মসজিদের পাসে ভাড়া থাকেন সাতক্ষীরা সদর থানার সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর শেখ সুমন হাসান।তিন দিন আগে থানা থেকে ভাড়া বাড়ি যেতে একাডেমি মসজিদের সামনে তার পায়ে কিছু একটার হোঁচট লাগে।এসময় নিচের দিকে তাকিয়ে দেখেন একটা টাকা ভর্ত্তি মানিব্যাগ রান্তায় পড়ে আছে।এসময় মানি ব্যাগটি তুলে নিলেন এএসআই সুমন।রাস্তায় মানিব্যাগ টি যখন তুলছিলেন এএসআই সুমন তখন দুই পথচারী হাসাহাসি করছিল তাদের ধারনা ছিল দারোগা বাবু হয়তো টাকা ভর্ত্তি মানিব্যাগটি নিয়ে গেবে দেবে। কিন্তু তাদের সে ভ্রান্ত ধারনা পাল্টে দিলো এএসআই সুমন।
সাতক্ষীরা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় কুড়িয়ে পাওয়া মানিব্যাগে একটি পাসপোর্ট সহ নগত ১৭ হাজার টাকা ছিলো।মানিব্যাগের পাসপোর্ট নাম্বার টি পাসপোর্ট অফিসে দিয়ে প্রকৃত মানিব্যাগের মালিক কে খুজে বের করতে সক্ষম হয় সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ।পোসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্টের মালিক ও তার ঠিকানা নিয়ে ফোন দেওয়া হয় মানিব্যাগের প্রকৃত মালিক কে।সাতক্ষীরা সদর থানার এএসআই সুমন হোসেন মানিব্যাগের প্রকৃত মালিক জাঙ্গীর হোসেন, পিতা- এক্সেন, গ্রাম- পলাশপোল,সাতক্ষীরা কে 01715-857323 নাম্বারে ফোন করে সাতক্ষীরা থানায় আসতে বলেন।পুলিশের ফোন পেয়ে টাকা ভর্ত্তি মানিব্যাগের মালিক জাহাঙ্গীর ও তার পিতা এক্সেন রবিবার রাত ৮.৪৫ মিনিটের দিকে সাতক্ষীরা সদর থানায় উপস্থিত হলে সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান হারানো মানিব্যাগের প্রকৃত মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনের হাতে ১৭ হাজার টাকা সহ মানিব্যাগ সহ পাসপোর্ট ও আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র তুলে দেন।এসময় সাতক্ষীরা থানার পরিদর্শক তদন্ত আবুল কালাম আজাদ, সদর থানার পরিদর্শক অপারেশন বিপ্লব কুমার কান্তি,এএসআই সুমন ও ভুক্তভোগীর পিতা এস্কেন উপস্থিত ছিলেন।