দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তৃতীয়বারের মতো বাড়ানো হলো সাধারণ ছুটি। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে যথারীতি সেবা খাত সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো খোলা থাকবে।
রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে করোনাসংক্রমণ ঠেকাতে ২৪ মার্চ ও ১ এপ্রিল দুইদফা ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ১০ ও ১১ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার থাকায় ওই দুদিনও ছুটির আওতায় ছিল দেশ।
আজ নতুন প্রজ্ঞাপনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ১২ ও ১৩ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটির আওতায় আনা হয়েছে। আর ১৪ এপ্রিল বন্ধ থাকবে পহেলা বৈশাখ নববর্ষ উপলক্ষে।
রবিবার অনলাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট নয়জনের মৃত্যু হলো। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছে, যা একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৮ জনে। এর আগে গত ১ এপ্রিল জনপ্রশাসনের ছুটি ঘোষণার এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিসেবার অর্থাৎ বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই ছুটি প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতায় পড়বে না।
জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলো চালু রাখতে পারবে। মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে রিক্সা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিবে।