নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাশদহ ইউনিয়নের কামারবাইশা গ্রামের শিশু মুক্তামণি দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়ে শুক্রবার বাড়ি ফিরেছে। টানা ৬ মাস চিকিৎসা নিয়ে এক মাসের ছুটিতে বাড়ি ফিরল মেয়েটি।

শুক্রবার সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্সযোগে রওয়ানা দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নিজ বাড়িতে পোঁছায় মুক্তামণি। তার সঙ্গে বাড়ি ফিরেছেন তার বাবা ইব্রাহিম গাজী, মা আসমা খাতুন ও ছোট ভাই আলামিন গাজী।

মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম গাজী বলেন, আমরা বাড়িতে ফিরেছি। মুক্তামনির চিকিৎসা এখনো শেষ হয়নি। বাড়ির জন্য মুক্তামণির মনটা খারাপ হওয়ায় ডাক্তাররা এক মাস ছুটি দিয়েছেন। এক মাস পর আবারও চিকিৎসার জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।
অনেকটা আক্ষেপের সাথে মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম গাজী আরো বলেন, দীর্ঘ ৬ মাস চিকিৎসা করিয়েও মুক্তামণির চিকিৎসার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এক মাস পর যেতে বলেছেন ডাক্তাররা।

এদিকে মুক্তামণির বাড়িতে ফেরার খবরে তাকে এক নজর দেখতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জড়ো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনি কে নিয়ে প্রথম আলো,ভয়েজ অফ সাতক্ষীরা, ডেইলি সাতক্ষীরা,যমুনা টিভি,পত্রদুত,দৃষ্টিপাত,আমাদের সময়,দৈনিক সাতক্ষীরা,কালের চিত্র,সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর খুলনা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও বর্তমান নৌ সচিব আবদুস সামাদের দৃষ্টি গোচর হয়।অতপর,বিভাগীয় কমিশনার সাতক্ষীরার ডিসি ও সিভিল সার্জন কে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানান।সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন গাড়ি নিয়ে সোজা মুক্তা মনির বাড়িতে যান এবং মুক্তা মনি কে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্ত্তি করিয়ে দেন।
অতপর,সাতক্ষীরা তে চিকিৎসার উন্নতি না হওয়াতে এবং সাতক্ষীরার মহৎ মনের সাংবাদিক দের ব্যাপক প্রচারনার কারনে মুক্তা মনির অসুস্থ্যতার কথা জানতে পারেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধান মন্ত্রী স্বাস্থ্য বিভাগের মহা-পরিচালক কে মুক্তা মনির চিকিৎসা দায়িত্ব নিতে বলেন। অতপর,প্রধান মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কথা মোতাবেক মুক্তা মনির সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন স্বাস্থ্য বিভাগ। যেটা বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও গণমাধ্যমে সংবাদটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয়।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন