সাতক্ষীরায় ঈদের পরের দিন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হাঁড় ভেঙেছে প্রায় ৩০ জন কিশোরের।যদি ও সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশ ঈদের পর থেকে কঠোর অবস্থানে আছে বেপরোয়া গাড়ি চালনা বন্ধে। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ আর কতক্ষণ বা চৌকি দেবে তাদের?  গতকাল সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগ থেকে জানা যায়, ঈদের পরের দিন শ্যামনগর -আশাশুনি-কালিগঞ্জ – দেবহাটা এসব এলাকা থেকে মটর সাইকেল বনাম নসিমন,মটরসাইকেল বনাম মটর সাইকেল,মটর সাইকেল বনাম – কুকুর+ বাছুর, মটর সাইকেল বনাম – বৃদ্ধ মানুষ ইত্যাদি সংঘর্ঘে কমপক্ষে আহত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন কমপক্ষে ৩০ জন তরুণ। তাদের সকলের বয়স ১৫-২২ এর মধ্যে। মেডিকেল কলেজ সুত্র বলছে যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের কে ঢাকা পঙ্গু হসপিটালে রেফার করা হয়েছে। আবার সাতক্ষীরা সদর হাসপিটালের চিত্র ও একই।

সাতক্ষীরার সদর হসপিটাল কতৃপক্ষ বলছে বিনেরপোতা, লাবসা,বাইপাস, ঝাউডাঙ্গা, আগড়দাড়ি, সাতক্ষীরা টু কলারোয়া, সাতক্ষীরা চু চুকনগর এসব এলাকা থেকে মটর সাইকেল এক্সিডেন্টে কমপক্ষে ৫০ টির বেশি তরুণ -কিশের ও যুবক রোগী এসেছিলো। যেসব রোগীর সাধারণ ভাবে হাড় ভেঙেছে তাদের কে সাতক্ষীরা সদর হসপিটালে চিকিৎসা দিচ্ছেন অর্থপেডিক্স সার্জন ডা: মো: হাফিজ উল্লাহ।

অপর দিকে সদর হসপিটালে যেসব রোগী র অপারেশন সম্ভব হচ্ছেনা তাদের কে ঢাকা পঙ্গু হসপিটালে রোফার করা হচ্ছে।তবে হসপিটাল কতৃপক্ষ বলছে ঈদের ছুটি তে ডাক্তার রা গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় অল্প সংখ্যক ডাক্তার ও নাস ও বয় নিয়ে এত রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তবে সুশীল সমাজ বলছে, ১৫ বৎসরের কিশোরের কাছে তার পিতা আরওয়ান ফাইভ – ফিজার,এফএজএস ভার্সোন থ্রি মটর সাইকেল কিনে দিয়ে ছেলের আবদার পুরণ করে।অনেক পরিবার আছে যারা গরীব কিন্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সমিতি থেকে লোন নিয়ে আপনার দুষ্টু ছেলেকে মটর সাইকেল কিনে দিয়ে ছেলের অন্যায় আবদার রক্ষা করছেন। অথচ গতকাল আপনার ছেলে বেপরোয়া মটর সাইকেল চালিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় আপনার ছেলে তার  হিভ জয়েন্ট ভেঙে ফেলেছে।খুলনা মেডিকেলের ডাক্তার বলেছে আপনার ছেলের হিপ জয়েন্ট অপারেশ ও হাড়ের বল চেঞ্জ করতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লাগবে। আপনি এখন ছেলের মোটরসাইকেলের সমিতির কিস্তি দেবেন নাকি অপারেশের টাকা জোগার করবেন??  এটি প্রশ্ন সাতক্ষীরার বিবেকবান মানুষের।

একটা দু:খের কথা না বল্লেই হয় না।  আপনার ছেলের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারনে সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সজীব খানের বৃদ্ধ পিতা বাড়ির সামনের রাস্তা হেটে পার হতে গিয়ে এক কিশোরের বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পায়ের ৬ টি হাড় ভেঙে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করলেন।আল্লাহ তাঁকে জান্নাত বাসী করুন,।কিন্তু এই অকাল যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর  দায়ভর  কে নেবেন?  অভিভাবক রা?  নাকি ঐ তরুণ মটর সাইকেল চালক যুবক।

পরিশেষে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম -বার এঁর নির্দেশে সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশের টিআই এডমিন শ্যামল কুমার চৌধুরী অত্যান্ত দক্ষতা ও সুনামের সহিত যানজট নিরাসনে ঈদের আগে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।শুধু নয় ঈদের আগের দিন ও তিনি শহরের বাইপাসে সড়কে দূর্ঘটনা এডাতে সচেতনতা মুলক হুইসেল মোহড়া দিয়েছেন। এ প্রতিবেদকের  অনুরোধ শহরে ১৫ বছর বা তার চাইতে ছোট বয়সের কারো কাছে মটরসাইকেল দেখলে আপনার তাদের গাড়িটি জব্দ করে তাদের অভিভাবকদের ডেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিন।

সবাই ভালো থাকবেন ও সড়ক দূর্ঘটনা মুক্ত ঈদ উৎসব পালন করবেন।

লেখক : বিশেষ রিপোটার,  আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন