ইব্রাহিম খলিল,সাতক্ষীরা :‘‘হেলমেট পুলিশের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য নয়,বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য পরুন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের মোড়ে মোড়ে এক ব্যেতিক্রমী কর্মসূচির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শনিবার (৩১আগষ্ট) বিকাল ৪.৩০মিনিটে সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট মামুনুর রহমান,সার্জেন্ট শরিফুল ও সার্জেন্ট অনিমেশ এর নেতৃত্বে অবৈধ মটর যানের উপর এই অভিযান পরিচালনা করেন।

এই সময় তারা জনাধারণকে মটর যানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন। সাথে সাথে সবাইকে ট্রাফিক আইন মানতে উৎসাহিত করেন দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশবৃন্দ। যে সব যানবাহনের সঠিক কাগজ পত্র নেই তাদের উপর ট্রাফিক আইনে মামলা প্রদান করা হয়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে আজ বেলা ৫.৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা খুলনারোড মোড়ে দায়িত্বরত ট্রামিক সার্জেণ্ট শরিফুল ইসলাম ও অনিমেশ রায় আপডেট সাতক্ষীরা কে  বলেন,পুলিশ জনগণের  বন্ধু। সেবাই পুলিশের ধর্ম। আমরা চাই দেশের সবাই ট্রফিক আইন মেনে চলুক। নিরাপদে পথ চলুক এবং দূর্ঘটনা রোধ করুক। তিনি বলেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর পিপিএম বার মহোদয়ের দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা ট্রাফিক বিভাগ   যে সব যানবাহনের বৈধ কাগজ পত্র আছে তাদের ফুল এবং চকলেট দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই অসাধরণ উদ্যোগকে সবাই সাদুবাদ জানিয়েছেন সুফি সমাজের লোকজ।।

পুলিশের কাছ থেকে চকলেট,রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুলের ষ্টিক পেয়ে মটরযান চালকেরাও দারুন খুশি। এই সময় তিনি আরও জানান সকাল থেকে মামলা দিয়েছি মাত্র ১০টি আর ফুল দিয়েছি অন্তত ৩৪ জনকে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন সার্জেণ্ট শুভ্র দেব, সার্জেণ্ট মুকুল হোসেন, সার্জেণ্ট শরিফুল ইসলাম, সার্জেণ্ট অনিমেষ রায় সহ আরও অনেকে। এই সময় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে ফুল গ্রহণকারী আকড়াখোলা গ্রামের রকিব হোসেন, রসুলপুর এলাকার শফিকুল ইসলাম, কেড়াগাছী গ্রামের আসাদুল্লা আল গালিব, নেবাখালি এলাকার মনির হোসেন, সোভনালি এলাকার রবিউল ইসলাম, রইসপুর এলাকার মোকলেছুর রহমান জানান আমরা পুলিশের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করি। সবাই যদি বৈধ কাগজপত্র নিয়ে রাস্তায় বের হয় তাহলে তাদের কাজ আরও সহজ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন পুলিশের কাছ থেকে ফুল পেয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমরা দারুণ খুশি। এই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ট্রাফিক পুলিশের চার্লি ওয়ান কামরুল হাসান বলেন, আমরা সবসময় জনসাধারণের জন্য কাজ করি। কোথাও কোন দূর্ঘটনা হলে সবার আগে ট্রাফিক ব্যবস্থার দিকে আঙ্গুল উঠে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি জনসাধারণ সবাই যদি ট্রাফিক আইন মেনে চলে তাহলে ট্রাফিক দূর্ঘটনা অনেক অংশে কমে যাবে। আর জনসাধারণকে ট্রফিক আইন মানতে উৎসাহিত করাতে আমরা এই ব্যেতিক্রমী কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। সাতক্ষীরায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে যানান তিনি।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন