মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত গভীর রাতে ডাকাতির মাস্টার মাইন্ডসহ ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার মালতিয়া গ্রামের মৃত আনছার সরদারের পুত্র ডাকাতের মাস্টার মাইন্ড আবুল হোসেন সরদার (৪৫), তালা থানার চাঁদকাঠি গ্রামের মৃত শওকাত মোল্লার পুত্র আশরাফুল মোল্যা (৩২) ও সাতক্ষীরা থানার কাটিয়া লষ্করপাড়া গ্রামের মোঃ মহিদুল ইসলামের পুত্র আব্দুল কাদের ওরফে মিঠু (২৬)।
জেলা পুলিশের সুত্র জানায়, গত ২৭ জানুয়ারী গভীর রাতে পাটকেলঘাটা থানার সৈয়দপুর গ্রামের মৃত অজিত ঘোষের পুত্র অমর ঘোষ ও তার মামাতো ভাই গৌতম ঘোষের বাড়িতে অজ্ঞাতনামা ১৩/১৪ জনের ডাকাত দল অস্ত্র-শস্ত্রসহ প্রবেশ করে নগদ টাকা, শাড়ি কাপড়, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকারসহ সর্বমোট মূল্য ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল লুন্ঠন করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-২৭/০১/২০২০খ্রিঃ, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড রুজু হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক তালা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের তত্বাবধানে সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদের নেতৃত্বে ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাত দলকে সনাক্ত করে তাদেরকে গ্রেফতার এবং লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করে পুলিশ।
অভিযানে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। মামলা তদন্তকালে পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারকী ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এবং পরিকল্পনায় সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে উক্ত মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত এবং ডাকাতির ঘটনায় অংশগ্রহণকারী মাস্টার মাইন্ড আবুল হোসেন সরদারকে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ডাকাতি হওয়া একটি মোবাইল ফোন সহ আটক করে। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য মতে সহযোগী ডাকাত আশরাফুল মোল্যা ও আব্দুল কাদের ওরফে মিঠুকেও পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানসহ ডাকাতির সাথে জড়িত অন্যান্য ডাকাতদের নাম প্রকাশ করেছে।
জেলা পুলিশ আরও জানায়, অন্যান্য পলাতক ডাকাত সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত আছে।
ডাকাতি মামলাটি পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।