মোস্তাফিজুর রহমান(উজ্জল): নির্বাচনী খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রহৃত হয়েছেন সাতক্ষীরার দৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিবুর রহমান। এসময় তারা তার ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরা-৪ আসনের শ্যামনগর বাজার ট্রাক টার্মিনালে নৌকার নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পে এঘটনা ঘটে। শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হাবিবুর রহমানকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
সাংবাদিক হাবিবুর রহমান জানান, শ্যামনগরের শ্মশানঘাট এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে বুধবার গভীর রাতে বোমা নিক্ষেপের বিষয়ে নিউজের জন্য তিনি তার দুই সহকর্মী সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান ও মাসুদুর রহমানকে সাথে নিয়ে শ্যামনগরে যান। তিনি থানা থেকে মামলার কপি সংগ্রহ করে এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে কয়েকজনের সাক্ষাতকার গ্রহন করেন। সাক্ষাতকার গ্রহনের এক পর্যায়ে তার সাথে সাক্ষাত হয় মুন্সিগঞ্জ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধার সাথে। কথার এক পর্যায়ে অসীম মৃধা চেতে ওঠেন। এক পর্যায়ে অসীম মৃধা তাকে ট্রাক টার্মিনালের নির্বাচনী অফিসের ভেতরে ডাকেন। সেখানে পৌছাতেই অসীম মৃধার নির্দেশে আওয়ামী লীগের কয়েকজন সন্ত্রাসী সম্পাদক হাবিবুর রহমানের ওপর ঝাপিয়ে পড়েন। তাকে এলাপাতাড়ি মারপিঠ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান এ সময় পুলিশ সুপারের কাছে ফোন করতেই অসীম ও তার লোকজন তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও একটি ক্যামেরা জোর করে ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
হাবিবুর রহমান জানান, অসীম মৃধা তার ভাড়াটে গুন্ডা রহমত ও তার কয়েক সহযোগী দিয়ে এঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি নিজেই তাকে মারপিট করার হুকুম দিয়েছেন অভিযোগ করে হাবিবুর রহমান আরও বলেন তার মোবাইল ও ক্যামেরাও ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এ বিষেয়ে জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই দীপ্তেশ রায় বলেন ‘বোমা নিক্ষেপের মামলার বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান অসীম মৃধার সাথে সম্পাদক হাবিবুর রহানের কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ সময় কয়েক যুবক তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেছে। আমরা হাবিবুর রহমানকে থানায় এনেছি।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন