সাতক্ষীরায় বিধবা মাকে উত্যক্তের অভিযোগে ছেলে দিপক চন্দ্র রায় নামে এক লম্পট শিক্ষকের কান কেটে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোর বেলায় সাতক্ষীরার ধুলিহরের খড়িয়াডাঙ্গা এলাকায়। দিপক খড়িয়াডাঙ্গার মৃত কৃষ্ণ পদ রায়ের ছেলে। তিনি ঐ এলাকার ৫২ নং খড়িয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়,দিপক দীর্ঘ দিন যাবৎ ঐ এলাকার জনৈক কলেজ প্রভাষকের বিধবা মাকে কু-প্রস্তাবসহ উত্যক্ত করে আসছিল। ঘটনার দিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে গেলে বিধবার আত্ন চিৎকাওে অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে দিপক পালিয়ে যায়। তবে তার ছেলে দিপকের পিছু নিয়ে পার্শ্ববর্তী রায় পাড়ার তার বাড়ির সামনে থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাম কান কেটে নিয়ে বাড়িতে যায়।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক দিপককে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকা মুক্ত হলেও স্কুলে ফিরতে পারেনি।
এদিকে কান কর্তনের ঘটনা এলাকাসহ জেলা ব্যাপী প্রচার হলে ব্যাপক চ্যাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী বলছে দিপক দীর্ঘ দিন যাবৎ দিপক ঐ বিধবাকে উত্যক্ত করে আসছিল।
এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক দিপকের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে ঐ শিক্ষক তার কান কেটে নিয়েছে। তবে এনিয়ে তিনি কোথাও কোন মামলা বা অভিযোগ করেননি।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মফিজুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন,এ ধরনের একটি খবর তারাও পেয়েছেন। তবে তা প্রতিষ্ঠানের বাইরে ঘটায় তারা তাৎক্ষণিক এ নিয়ে কোন প্রকার ব্যবস্থা নিতে পারছেননা।