সাতক্ষীরা শহরের কুকরালিতে রহিঙ্গা ছেলে ধরা সন্দেহে আওয়ামীলীগ নেতার ভাইপো কে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে।সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মেরিনা আক্তার প্রতিবেদক কে বলেন, সাতক্ষীরার মানুষ এমন ভাবে গুজব ছড়ালে আর গুজবে বিশ্বাষ করলে আমরা পরিস্থিতি কিভাবে ঠান্ডা করে রাখবো।

তিনি বলেন রাত ১০.৩০ মিনিটের দিকে সাতক্ষীরা থানা পুলিশের কাছে ফোন আসে কুকরালি এলাকায় নাকি রোহিঙ্গা ছেলে ধরা ধরা পড়েছে।লোকজন তাকে বেধড়ক পিটাচ্ছে।উক্ত ফোন পেয়ে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মেরিনা আক্তার ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি সেখানে গিয়ে দেখতে পান একজন যুবক কে সবাই ছেলেধরা মনে করে পিটাচ্ছে।পরে সদর সার্কেল সার্কেলের নির্দেশনা মোতাবেক ইটাগাছা ফাড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর ইসরাফিল  ঐ সন্দেহভাজন ছেলেধরা কে  উদ্ধার করে  ইটাগাছা ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।পরে উদ্ধারকৃত লোকটির পরিচায় পাওয়া যায় তিনি হলেন দেবহাটা থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম এর আপন বড় ভাইয়ের ছেলে মোঃ রিয়াজউদ্দিন।তিনি পেশায় একজন মটর সাইকেল ড্রাইভার। 

এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর সার্কেল আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম কে বলেন আমরা (পুলিশ) যদি আর ১০ মিনিট পরে যেতো ঘটনাস্থলে তাহলে রহিঙ্গা সন্দেহে কুকরালির জনগন তাকে মেরে ফেলতো।সদর সার্কেল আরো বলেন দেবহাটা থেকে ভাড়া মটর সাইকেলে যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরায় আসতেছিল মোঃরিয়াজউদ্দিন।পথিমধ্যে বাকাল পার হয়ে কুকরালি মোড় থেকে কিছু লোকজন তাকে যাত্রি সহ থামিয়ে মারতে থাকে আর বলতে থাকে সে নাকি রহিঙ্গা ছেলে ধরা।পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজাতে নিয়ে যায়।সদর সার্কেল আরো, বলেন এভাবে গুজব ছড়িয়ে যদি ভালো মানুষদের কে ছেলেধরা বানিয়ে মেরে ফেলা হয় তাহলে তো দু:খ জনক ঘটনা।তিনি আরো বলেন,সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ অত্যান্ত তৎপরতার সাথে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছে।তারা আসলে রহিঙ্গা ছেলেধরা নাকি অন্য কোন অপশক্তি সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তিনি আবারো সাতক্ষীরার মানুষ কে কোন প্রকার গুজবে কান দিতে নিষেধ করেছেন।সাথে সাথে সাতক্ষীরার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার  সাংবাদিক দের কে গুজবের বিরুদ্ধে সত্য প্রচার করে পুলিশ কে সহযোগিতা করার  আহবান জানিয়েছেন। 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন