শেখ আরিফুল ইসলাম(আশা):আশাশুনি থানা ও থানার ওসি জেলার পূর্বজোনের শ্রেষ্ঠ চৌকশ ওসি এবং থানার কয়েকজন সাব-ইন্সপেক্টর ও সহকারী সাব-ইন্সপেক্টরগণ জেলার শ্রেষ্ঠ চৌকশ পুলিশ হিসাবে সন্মাননা পেয়েছেন।

বুধবার সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তাদের গতমাসের কার্যক্রম মূল্যালয় করে তাদের কে চৌকশ পুলিশ হিসাবে সন্মাননা প্রদান করা হয় । জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ সভায় জেলার পূর্বজোনে আইন-শৃংখলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ এর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ সাজ্জাদুর রহমান।

সভায় অক্টোবর/২০১৮ মাসে সাতক্ষীরা জেলার পূর্ব জোনের শ্রেষ্ঠ থানা হিসাবে নির্বাচিত হয় আশাশুনি থানা এবং পূর্বজোনের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হন আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ।

অপরদিকে আইন-শৃংখলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় জেলার শ্রেষ্ঠ চৌকশ পুলিশ হিসাবে এসআই ক্যটাগরিতে ২য় স্থান অর্জন করেন আশাশুনি থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোঃ ইসমাইল হোসেন এবং সাতক্ষীরা জেলার শ্রেষ্ঠ চৌকশ পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই ক্যটাগরিতে ৩য় স্থান অর্জন করেন আশাশুনি থানার সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ কবির হোসেন।

সভায় সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোঃ ইসমাইল হোসেন ও এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ কবির হোসেনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান।

অপরাধ পর্যারোচনা সভার প্রথম দিকে পুলিশ সুপার মহোদয় আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলার আট থানার অফিসার ইনচার্জদের বিশেষ নির্বাচনী ব্রিফিং প্রদান করেন।পুলিশ সুপার অপরাধ সভায় উপস্থিত পুলিশ অফিসার গণ কে উদ্যেশ্যে বলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। সে উপলক্ষে জেলা পুলিশের প্রত্যেকটি পুলিশ সদস্যকে আরো বেশি তৎপর থাকতে হবে।তিনি বলেন সাতক্ষীরায় উৎসব মূখর পরিবেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।জনগন তার এলাকার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করবে।কোন প্রার্থীর লোক কোন ভোটার কে ভোট প্রদানের লক্ষে চাপ সৃষ্টি করতে পারবেনা।ভোটার তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।তিনি আরো বলেন নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কেউ যেনো ভারী অবৈধ অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য বহণ করতে না পারে সেদিনে লক্ষ রাখতে হবে।বৈধ কাগজ পত্র ছাড়া রাস্তায় কোন যানবহণ নামানো যাবেনা।নির্বাচন চলাকালীন সময়ে মটর সাইকেলে দুই জনের বেশি তিন জন যাত্রী তোলা যাবেনা আর চালক ও আরোহী দুই জন কেই হেলমেট পরিধান করতে হবে।প্রার্থীর পক্ষ থেকে নির্বাচনী এলাকায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোরার জন্য মটর সাইকেল বা প্রাইভেট কার বা মাইক্রোবাস চড়ার অনুমতি জেলা রিটানিং অফিসারের কাছ থেকে নিতে হবে।তিনি বলেন ভোট কেন্দ্রে যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠি যদি নাশকতা করার অপচেষ্টা করেন তাহলে আপনারা (পুলিশ) নাশকতাকারীদের বিষদাঁত ভেঙে দেবেন।

জেলা পুলিশের হেড কোয়াটার্সের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অপরাধ সভায় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদ্য পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার  মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ,সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মেরিনা আক্তার,কালিগঞ্জ সার্কেলের এডিশনাল এসপি মো:জামিরুল ইসলাম,তালা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার,দেবহাটা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াছীন আলী,জেলা পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআই-১ আজম খান,গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ আলী আহম্মেদ হাশমী,ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক টিআই মোমিন হোসেন, সাতক্ষীরা থানার ওসি মো:মোস্তাফিজুর রহমান,কলারোয়া থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মেদ,তালা থানার ওসি মেহেদী রাসেল,আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার দেবনাথ,কালিগঞ্জ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান,দেবহাটা থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলী,পাটকেল ঘাটা থানার ওসি,শ্যামনগর থানার ওসি সহ জেলা পুলিশের সকল পর্যায়ের স্টার্ফবৃন্দ উক্ত অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।