
গাজী হাবিব: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং ৫৫০ (খুলনা) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৮ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতি ভবনে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ নির্বাচনে সভাপতি পদে শাপলা ফুল প্রতিক নিয়ে মো. জাকির হোসেন টিটু ৬১২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
![]()
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আরশাদ আলী গাজী (খোকা) হরিন প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৫২৪ ভোট। এছাড়া সভাপতি পদে অপরাপর প্রার্থী মো. আবু তালেব আনারস প্রতিকে পেয়েছেন মাত্র ৬৯ ভোট, মো. মুকুল হোসেন মটর সাইকেল প্রতিকে ২৩৩ ভোট এবং শেখ রবিউল ইসলাম রবি বাস প্রতিক নিয়ে ২৯৪ ভোট পেয়েছেন। এ পদের নষ্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ৬৮ টি। চরম উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে চতুর্মুখী লড়াইয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জাহিদুর রহমান টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে ৮৬৬ ভোট নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী আক্তারুজ্জামান মহব্বত চাঁদ প্রতিকে ৬৫৫ পেয়েছেন ভোট। এছাড়া, সাধারণ সম্পাদক পদের অন্যান্য প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন দোয়েল পাখি প্রতিকে পেয়েছেন মাত্র ৮৭ ভোট এবং শেখ মামুনার রশিদ সিলিং ফ্যান প্রতিকে ১৩৫ ভোট পেয়েছেন। এ পদের নষ্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ৫৪ টি। এদিকে, সহ সভাপতি পদে শহিদুল ইসলাম কবুতর প্রতীকে ৮৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং শেখ মশিয়ার রহমান তরবারী প্রতিকে ৬৯৬ ভোট ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। এ পদের নিকটতম অপরাপর প্রার্থী মহিদুল ইসলাম চশমা প্রতিকে ৫৯৩ ভোট, মো. রশিদ সরদার টেবিল প্রতিকে ১৮৬ ভোট পেয়েছেন ও মো. নজরুল ইসলাম টায়ার প্রতিকে ৪৬০ ভোট পেয়েছেন। এ পদের নষ্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ২৬ টি। যুগ্ম সম্পাদক পদে আশরাফুজ্জামান সাজু প্রজাপতি প্রতিকে ১১৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ছালাম সরদার জাহাজ প্রতিকে পেয়েছেন ৪১৬ ভোট ও মো. জহির গাজী ময়ূর প্রতিকে পেয়েছেন ১৫৩ ভোট। এ পদের নষ্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ৪৮ টি। সহ যুগ্ম সম্পাদক পদে মো. কামাল রিক্সা প্রতিকে ৮৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুর রহমান খান টেবিল ফ্যান প্রতিকে পেয়েছেন ৬৮৬ ভোট এবং মো. আমিরুল ইসলাম সেলাই রেঞ্জ প্রতিকে ১৮৫ ভোট পেয়েছেন। এ পদের নষ্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ৬৩ টি। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. মিলন হোসেন উড়োজাহাজ প্রতিকে ৪৭৮ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপরাপর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীপ্রার্থী শেখ মিরাজুল ইসলাম উট প্রতিকে ৪৫০ ভোট, মো. নাজমুল হোসেন তবলা প্রতিকে ২৫৭ ভোট, নুরুল আলম টেবিল ল্যাম্প প্রতিকে ৭৯ ভোট এবং শেখ শফিউল ইসলাম ৪৩০ ভোট পেয়েছেন। এ পদের নষ্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ৫৩ টি। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সিংহ প্রতিকের প্রার্থী মো. মশিয়ার ৯৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মীর নাজমুল হায়াত প্রাইভেটকার প্রতিকে পেয়েছেন ৭৪৬ ভোট। এ পদের নষ্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ৬৯ টি। প্রচার সম্পাদক পদে হাতী প্রতিকের প্রার্থী মো. মিন্টু ৭৯৫ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপরাপর প্রার্থী শেখ কামরুল ইসলাম আপেল প্রতিকে পেয়েছেন ৭১৫ ভোট এবং আবু জাফুরুল ইসলাম ঘোড়া প্রতিকে ২০৬ ভোট পেয়েছেন। এ পদের নষ্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ৬৫ টি। সহ প্রচার সম্পাদক পদে মো. বাবুল হোসেন ব্যাটবল প্রতিকে ৫৭৮ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপরাপর প্রার্থী নাজমুল হোসেন জগ প্রতিকে পেয়েছেন ৫০৭ ভোট, মো. আকাশ হোসেন একতারা প্রতিকে ৩৩৬ ভোট ও মো. শওকত আলী বেবিট্যাক্সি প্রতিকে ৩১৩ ভোট পেয়েছেন। এ পদের নষ্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ৫৩ টি। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে ঠেলা গাড়ী প্রতিকের প্রার্থী শামিনুর রহমান সাদ্দাম ৬৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য প্রার্থী আজগর আলী ফুটবল প্রতিকে ৬৪০ ভোট এবং মো. জুলফিকার হোসেন ট্রাক প্রতিকে ৪৪২ ভোট পেয়েছেন। এ পদের নষ্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ৪২ টি। অফিস সম্পাদক পদে দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী খন্দকার বদুউর জামান ১০৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে শাহারুল ইসলাম ঘুড়ি প্রতিকে ৫২০ ভোট ও ইব্রাহিম সরদার মোবাইল প্রতিকে ১৪৫ ভোট পেয়েছেন। এ পদের নষ্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ৭১ টি। কোষাধ্যক্ষ পদে মাইক প্রতিকের প্রার্থী শেখ হুমায়ুন কবির (স্বপন) ১০২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এস এম জাকির হুসাইন বই প্রতিকে পেয়েছেন ৭০৪ ভোট। এ পদের নষ্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ৫২ টি। এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচিত ৮ জন কার্য নির্বাহী সদস্য হলেন, দেয়াল ঘড়ি প্রতিকের প্রার্থী মো. নুর আলম গাজী (৮১৬ ভোট), কলস প্রতিকের প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন (৬৫৮ ভোট), কলা প্রতিকের প্রার্থী শেখ হারুন (৬৪৭ ভোট), কুড়াল প্রতিকের প্রার্থী মো. হোসেন আলী (৫৮২ ভোট), কলম প্রতিকের প্রার্থী মো. সাহেব আলী (৫৬২ ভোট), ডাব প্রতিকের প্রার্থী বিল্লাল হোসেন (৫৪২ ভোট), কাপ পিরিচ প্রতিকের প্রার্থী শেখ আনারুল ইসলাম (৫২১ ভোট) এবং পান পাতা প্রতিকের প্রার্থী আজিজুল ইসলাম (৪৬৪ ভোট)। এ পদের অপরাপর প্রার্থী স্টিয়ারিং হুইল প্রতিকের প্রার্থী মো. আক্তার হোসেন ৪০৫ ভোট, টেলিফোন প্রতিকের প্রার্থী মো. আকতারুল ৪০৬ ভোট, গিটার প্রতিকের প্রার্থী মো. আকরাম হোসেন ৪১৪ ভোট, সেলাই মেশিন প্রতিকের প্রার্থী আবুল হোসেন ৩৪৯ ভোট, ঈগল প্রতিকের প্রার্থী মীর আবু রায়হান ৩৩৫ ভোট, নারিকেল গাছ প্রতিকের প্রার্থী শেখ আমজাদ হোসেন ২৬৬ ভোট, পানির বোতল প্রতিকের প্রার্থী আলম কারিকর ৪৫২ ভোট, কাউচি প্রতিকের প্রার্থী মো. আবুল হোসেন ১৪৭ ভোট, চিংড়ী মাছ প্রতিকের প্রার্থী মো. আব্দুল ওহাব ২১২ ভোট, লাটিম প্রতিকের প্রার্থী মো. কবিরুল ইসলাম ১১২ ভোট, তীর ধনুক প্রতিকের প্রার্থী তরিকুল ইসলাম ৪৫১ ভোট, তালা প্রতিকের প্রার্থী মজনু হোসেন ২৭৭ ভোট, মোরগ প্রতিকের প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন ৪১৭ ভোট, কুমির প্রতিকের প্রার্থী মো. রাজিব হোসেন ৩৩৪ ভোট, করাত প্রতিকের প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম ২৩৪ ভোট, পাতিহাঁস প্রতিকের প্রার্থী মো. সাঈদ সরদার ২৩২ ভোট, বালতি প্রতিকের প্রার্থী মো. সুমন হোসেন ২৫১ ভোট, চিরুনী প্রতিকের প্রার্থী মো. হামিদুল ইসলাম ২৭৪ ভোট, ইজিবাইক প্রতিকের প্রার্থী হোসেন ২৮৯ ভোট পেয়েছেন। আর এ পদে ৯৯ টি ভোট নষ্ট হয়েছে বলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কর্তৃক জানানো হয়েছে।

জেলাজুড়ে আলোচিত- সমালোচিত উল্লেখযোগ্য সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি বার্ষিক এ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন, মো. রবিউল হোসেন আর সদস্য সচিব ছিলেন, মো. হারুন উর রশিদ এবং সদস্য ছিলেন, মো. সেলিম রেজা মিঠু। তবে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঠে নিজেদের যোগ্যতা প্রমানে ব্যাপক প্রচার, পথসভা ও মাইকিং করেছেন প্রার্থীরা। এ নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরে বেশ উচ্ছ্বাসিত। জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক এ নির্বাচনে ভোট গণনার আগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের সকল প্রার্থী ভোটারদের উপস্থিতে মাইকে তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সমিতিতে এ যাবৎকালের যত নির্বাচন হয়েছে এর আগে এতো সুষ্ঠু ও সুন্দর মনোরম পরিবেশে কখনো হয়নি। হার জিতের এ নির্বাচনে ফলাফল যাই ই আসুক আমরা তা হাসিমুখে মেনে নেবো। এছাড়া শান্তিুপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরে আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বিশেষ করে পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
