সাতক্ষীরা থানা পুলিশ পৃথক ৩টি অভিযান চালিয়ে ৭০ বোতল ফেন্সিডিল,  ২ কেজি গাঁজা  সহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।আটককৃতরা হলেন, গোবিন্দকাটি গ্রামের মৃত. ইদ্রিস সরদারের পুত্র আমির হোসেন(২৯), খলিলনগর গ্রামের আনারুল ইসলামের পুত্র মো: বাপ্পী আহমেদ, ঘোনা কাজী পাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের পুত্র আনারুল ইসলাম ও মিঠুন। 

সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ জানায়,সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিনের তত্বাবধানে সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে সদর থানার এসআই মানিক সাহ, এ এস আই রাশেদ ও আসাদসহ সঙ্গী ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৫ ডিসেম্বর দুপুর থেকে গভীর রাতপর্যন্ত সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব মাদকদ্রব্যসহ ব্যবসায়ীদের আটক করে সদর থানা পুলিশ।

সাতক্ষীরার থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশন) বিপ্লব কান্তি মন্ডল জানান, মঙ্গলবার সদর থানা পুলিশের এস আই মানিকের নেতৃত্বে এ এস আই রাশেদ ও আসাদসহ সঙ্গী ফোর্স  বিকালে ভোমরা বাবু মার্কেট এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ব্যবসায়ী আমির হোসেন কে আটক করে।

তিনি জানান, একই দিন রাতে এস আই আহম্মদ ও হাফিজুরের নেতৃত্বে এ এস আই মনিরুলসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘোনা মোবারকের মোড়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বাপ্পি, আনারুল ও মিঠুনকে আটক করে। সে সময় আরেক মাদক ব্যবসায়ী মৃত. আব্দুলের পুত্র মনিরুল ইসলাম পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৬০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে পুলিশ।

ইন্সপেক্টর (অপারেশন) বিপ্লব কান্তি মন্ডল আরো জানান,অপর এক অভিযানে  এস শিমুল ও এ এস আই ইসতিয়াকসহ সঙ্গীয় ফোর্স সদরের কুচপুকুর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। সে সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী কুশখালী গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের পুত্র হাসমত আলী গাজার প্যাকেট ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২ কেজি গাজা উদ্ধার করে। এঘটনায় সদর থানায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন