আসাদুজ্জামান : পোষ্ট অফিসের ভিতরে টাকা গুনছিলেন নিতাই চন্দ্র। বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে পোষ্ট অফিসে টাকাগুলো জমা দিতে আসেন তিনি। জমা দেওয়ার আগে ভিতরে ক্যাশ টেবিলে টাকাগুলো পুনরায় গুনছিলেন। পেছন থেকে একজন গায়ে হাত দিয়ে ডেকে বলে, নিচে আপনার টাকা পড়ে গেছে। নিচে দেখতে গিয়ে টেবিলের উপরে থাকার চারটি বান্ডেলে দুই লাখ টাকা নিয়ে উধাও হন তিন প্রতারক। কষ্টের সম্বল হারিয়ে দিশেহারা নিতাই ও তার পরিবার । সাতক্ষীরা পোস্ট অফিসের ভেতর থেকে অভিনব পহ্নায় মৎস্যজীবীর দুই লাখ টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। সোমবার বেলা একটার দিকে সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিতাই বুধুক শহরের বাঁকাল খেয়াঘাট এলাকার কার্তিক চন্দ্রের ছেলে। তিনি পেশায় একজন মৎস্যজীবী। নিতাই চন্দ্র বুধুকের ভাই নিত্যানন্দ বুধুক জানান, রোববার দুপুরে বড় ভাই নিতাই চন্দ্র মা-বাবাকে নিয়ে কষ্টে অর্জিত দুই লাখ টাকা পোষ্ট অফিসে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে যায়। জমা দেওয়ার পূর্বে টাকাগুলো পুনরায় গুনছিল নিতাই। গুনে ক্যাশ টেবিলের উপর রাখছিল। এমন সময় নিচে কেউ কিছু টাকা ছড়িয়ে দিয়ে গায়ে হাত দিয়ে বলে, আপনার টাকা নিচে পড়ে গেছে। তখন নিতাই চন্দ্র মাথা নিচু করে দেখছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই গুণে রাখা ৫০০ টাকার চারটি বান্ডেলে দুই লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। খুজেও তাদের আর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কষ্টে জমানো টাকা হারিয়ে আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। পোষ্ট অফিসের অব্যবস্থাপনার কারণে এমনটি ঘটলো।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটির বিস্তারিত জানতে ঘটনাস্থল পোস্ট অফিসে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। পোস্ট অফিসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, অজ্ঞাত তিনজনকে টাকা নিয়ে বাইরে যেতে। এই প্রতারক চক্রের পরিচয় শনাক্ত ও আটকের জন্য কাজ করছে পুলিশ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন