দেশে খাদ্য সংকট নেই। তবে পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্যের অভাব এবং অধিকমাত্রায় ভেজাল ও কীটনাশকযুক্ত খাদ্য খেয়ে আমরা রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ছি। এতে শিশুরা জন্মগতভাবে নানা ব্যাধিতেও আক্রান্ত হচ্ছে। মায়েরা ভুগছে রক্ত স্বল্পতায়। প্রসবকালিন মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে পুষ্টিহীন খাদ্য।
বুধবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
চুপড়িয়া মহিলা সমিতির সভাপতি মরিয়ম মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর আবদুল হামিদ, অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, অধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি, সাতক্ষীরা পৌর সভার প্যানেল মেয়র ফারাহ দীবা খান সাথী, পৌর কাউন্সিলর শফিক উদ দৌলা সাগর, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, টিআইবির আবদুল আহাদ, বেসরকারি সংস্থা স্বদেশের মাধব দত্ত, আবু জাফর সিদ্দিকী ও লুইস রানা গাইন প্রমুখ।
তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে তারা বলেন, দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে। অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যাও প্রায় দুই কোটি। সব মিলিয়ে ৪ কোটি মানুষ দরিদ্র উল্লেখ করে তারা বলেন এসব মানুষ পুষ্টিযুক্ত খাদ্য বঞ্চিত। তারা বলেন, প্রতিদিন প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন ২১২২ কিলো ক্যালরি সুষম খাদ্য। পরিসংখ্যান তুলে ধরে বক্তারা আরও বলেন দেশের ৪৪ শতাংশ নারী রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। ৩৬.১ শতাংশ শিশু কম উচ্চতা সম্পন্ন বা খর্বকায় হয়ে পড়েছে। ৩২.৬ শতাংশ শিশু কম ওজন সম্পন্ন। এ ছাড়া ১৪.৩ শতাংশ শিশু কৃশকায় হয়ে পড়েছে। পুষ্টিযুক্ত খাবার খেলে তারা এ অবস্থার শিকার হতেন না বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, কীটনাশকযুক্ত শাক সবজি খেয়ে আমরা আন্ত্রিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। ভেজাল গুড়ো দুধ, ভেজাল ভোজ্য তেল এমনকি মাছে ও ফলে ব্যবহৃত বিভিন্ন কেমিক্যাল বিশেষ করে ফরমালিন জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করে আমরা নানা রোগের দিকে ঝুঁকে পড়ছি বলে উল্লেখ করেন তারা।
খাদ্য অধিকার আমাদের মৌলিক চাহিদার অন্যতম জানিয়ে বক্তারা বলেন খাদ্য অধিকার আইন প্রনয়ন করা হলে এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে।
সূত্রঃ পত্রদূত নেট।