সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি): সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় মিম খুজে পেলো তার খালার বাড়ি।সুত্র জানায়,আজ ১৩ ই অক্টোবর রোজ শনিবার রাত ৮ টার সময় সাতক্ষীরা সিলভার জুবলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের চায়ের দোকানে হঠাৎ ভ্যান থেকে নামলো একটি স্কুল ব্যাগ ঘাড়ের মেয়ে নাম তার মিম।ভ্যান থেকে নেমেই মিম চায়ের দোকানে বসা কাস্টমারদের কে মিম অভিযোগ দিয়ে বল্লো…. ভাই এই ভ্যান ওয়ালা আমাকে বিকাল থেকে তার ভ্যানে করে ঘোরাচ্ছে কিন্তু আমার খালার বাড়ি কলেজ মোড়ে পৌছে দিচ্ছিনা।কথা শোনা মাত্রই দোকানের কাস্টমার গুলো ভ্যান ওয়ালাকে মার-ধর করতে উদ্যক্ত হয়।এসময় ভ্যান ওয়ালা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লোকজনের ভিড়ে পালিয়ে যায়।পরে মেয়েটি স্থানীয় জনগনের নিকট সাহায্য চায়,যে তার খালার বাড়িতে পৌছে দেবার জন্য।মেয়েটি কে দেখতে রাস্তায় অনেক লোকজন জড় হয়।মেয়েটি স্থানীয় জনগন কে বলেন,তার বাড়ি যশোরের নওপাড়ায়।সে পাটকেলঘাটা হারুনুর রশিদ কলেজের পাসে অবস্থিত কওমী মাদ্রাসায় হাফেজী পড়ে।সে আরো বলে তার খালার বাড়ি কলেজ রোডে,তার খালুর নাম হারুন-উর রসিদ,তার খালু আশাশুনির কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক।মেয়েটির কাছে কোন মোবাইল ফোন ছিলোনা বিধায় সে কারো সাথে যোগাযোগও করতে পারছেনা।
এসময় রাস্তায় অনেক লোকজনের উপস্থিতি দেখে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর শরিয়াতুল্লাহ বাড়ি যাওয়ার পথে মটর সাইকেল থামিয়ে বিষয়টি জানতে চান উপস্থিত স্থানীয় জনগনের কাছে।বিষয়টি জেনে ডিবি পুলিশের এএসআই স্থানীয় জনগন কে পরামর্শ দেন সাতক্ষীরা থানার দায়িত্বরত ডিউটি অফিসারের কাছে মেয়েটি কে দিয়ে আসতে।কিন্তু অপরিচিত মেয়ে হওয়াতে কেউ ঐ মেয়েটিকে নিয়ে থানায় যেতে রাজি হন নি।
পরে স্থানীয় এক সাংবাদিক রাস্তায় অনেক লোকজন দেখে বিষয়টি সাতক্ষীরা থানার পরিদর্শক(তদন্ত)মোঃমহিদুল ইসলাম কে অবগত করেন।বিষয়টি শোনা মাত্রই সদর থানার পরিদর্শক(তদন্ত) জনাব মোঃমহিদুল ইসলাম মেয়েটিকে উদ্ধার করতে ও তার আত্মীয়ের বাড়িতে পৌছে দেওয়ার জন্য কিলো ওয়ানের দায়িত্বে থাকা সাতক্ষীরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর জনাব শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন টিম কে পাঠান ঘটনা স্থলে।
ঘটনা স্থলে এসেই সাব-ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম মেয়েটি কে’ মা’ বলে সম্মোধন করে বলেন,’মা’ তোমার কোন ভয় নেই।আমরা এসেছি তোমার পরিচয় সনাক্ত করে তোমার বাড়িতে পৌছে দেওয়ার জন্য।মেয়েটি পুলিশের উপস্থিতি দেখে একটু বুকে সাহস পায়।পরে মেয়েটি সাব-ইন্সপেক্টর শহিদুল সাহেব কে তার খালার নাম্বারটি দেন।এসময় সাব-ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম মেয়েটির খালা সখিনা খাতুনের কাছে ফোন করে তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন।মেয়েটির খালা পুলিশ কে বলেন শ্যাল্যে চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে তাদের বাড়ি।এসময় পুলিশ তার খালাকে বলেন আপনি চেয়ারম্যান মহোদয়ের বাড়ির সামনে অপেক্ষা করেন ১০-১৫ মিনিট।আমরা আপনাদের মেয়েকে নিয়ে আসতেছি।পরে মেয়েটি কে পুলিশের মাইক্রোর সামনের সিটে একা বসতে দিয়ে সাব-ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স মাইক্রোর পিছনের ছিটে গিয়ে বসেন।পরে স্থানীয় সাংবাদিক জনাব কামরুল ইসলাম পুলিশের গাড়িতে করে গিয়ে মেয়েটির আত্মীয়ের কাছে পৌছে দিয়ে আসেন।এসময় মেয়েটির খালা সখিনা খাতুন তার বোনের হারিয়ে যাওয়া মেয়ে মিম কে কাছে পেয়ে সাতক্ষীরা থানা পুলিশ কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন,দেশে আজও ভালো পুলিশ আছে বলে আমরা এখনও সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি।পুলিশ যে জনগনের প্রকৃত বন্ধু সেটা আজ আপনারা আবারো প্রমান করে দিলেন।