প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে সদ্য দায়িত্ব পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, তিনি তার সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার। ভোট একটি পবিত্র আমানত, সেই আমানত যেন খেয়ানত না হয় সেই চেষ্টা করবেন বলেও জানান সিইসি। এক্ষেত্রে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

শনিবার বিকালে রাষ্ট্রপতির করে দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রাতে নতুন সিইসি বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান।

নিজের দায়িত্ব পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে নতুন সিইসি বলেন, ‘একটি দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে। এই দায়িত্ব আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করব। কমিশনের অপর সদস্যদের দায়িত্ব গ্রহণের পর তাদের নিয়ে বসে কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করব।’

সাবেক এই সিনিয়র সচিব বলেন, ‘অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্ব আছে, তবুও চেষ্টা করব যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটি পুরোপুরিভাবে পালন করার। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব। সবশেষে জনগণই সব দেখবে কতটা সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারলাম।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমি এখনো শপথ নিইনি। শপথ নেওয়ার পরই আমি সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনার হবো। এরমধ্যে একটু বুঝে নিই আমার দায়িত্ব কী। তারপর ভালোভাবে প্রতিক্রিয়া এবং পরিকল্পনা ব্যক্ত করতে পারব।’

সিইসি বলেন, ‘সিইসি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর আমি আমার সব সহকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময় করবো। জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র দুই বছরের মতো সময় বাকি আছে। তাই প্রস্তুতি নিতে হবে। যদি সবাইকে নিয়ে একটি সম্মানজনক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারি তবে হয়ত সফলতার সুখ কিছুটা ভোগ করতে পারব, নতুবা মনোবেদনা থাকবে।’

গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাইব। নির্বাচন বিষয়টি আপেক্ষিক। সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। আর সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।’

প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনাররা যা বললেন

এদিকে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনাররাও। অবসরপ্রাপ্ত সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সবার সহযোগিতা চাই। সবার সহযোগিতা নিয়ে ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এর বেশি এখন কিছুই বলতে পারছি না।’

সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, কমিশনার হিসেবে নিজের নিয়োগ পাওয়ার খবরটি তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে পারছি না, আমি যে নির্বাচন কমিশনার হবো এটা আসলেই বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার এমনটা ধারণাতেও ছিল না।’

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আইন ও বিধি অনুযায়ী সংবিধান আমাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছে তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের চেষ্টা করবো।’

এর আগে বিকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেন। এই নির্বাচন কমিশন আগামী পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবে। এই কমিশনের অধীনে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করা হয়েছে সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে। তার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন